নন্দীগ্রাম: নিয়োগে দুর্নীতি থেকে কয়লা, গরুপাচারে একের পর এক নেতার নাম জড়িয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দফতরে কর্মরত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই আবহে ফের প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। নন্দীগ্রামে (Nandigram News) দাঁড়িয়ে বিজেপি-কে নিশানা করলেন তিনি। তাঁর দাবি,  বিজেপি (BJP) যতই ইডি-সিবিআই-কে কাজে লাগাক, মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। 


বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার পদযাত্রা করেন অভিষেক। ঘড়ির কাঁটা যখন রাত সাড়ে ১০টা ছুঁইছুঁই, নন্দীগ্রাম পৌঁছন অভিষেক। সেই সময় হইহই রব চারিদিকে। সেই আবহেই বিজেপি-কে নিশানা করেন। অভিষেক বলেন, "ওদের কাছে ইডি, সিবিআই আছে, মোদিজি আছে, অমিতজি আছে, যোগীজি আছে, কিন্তু মানুষ নেই। তৃণমূলের কাছে ইডি, সিবিআই কিছু নেই, কিন্তু মানুষ আছে। রাত সাড়ে ১০টায় নন্দীগ্রামের মাটিতে মিটিং করে দেখিয়ে দিলাম, মানুষ কার সঙ্গে আছে।"


নন্দীগ্রামের সভায় দাঁড়িয়ে এ দিন 'গদ্দার রাজত্ব' শেষ করারও ডাক দেন অভিষেক। বলেন, "আগামীদিনে দূষণমুক্ত হবে নন্দীগ্রাম। বার বার এই জেলাকে অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, নেতাই চেয়েছিল বলেই পরিবর্তন হয়েছে।" বিধানসভা নির্বাচনে কারচুপি করেই শুভেন্দু জিতেছেন বলেও এ দিন দাবি করেন অভিষেক। তাঁর দাবি, আপাতত টিজার দেখিয়ে গেলেন তিনি, তিন মাস পর গোটা ছবির প্রদর্শন হবে।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘শয়নে-স্বপনে শুধু ভাইপো, নাম নিয়ে বলছি, শুভেন্দু অধিকারী মিরজাফর’, নন্দীগ্রামে আক্রমণে অভিষেক


তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে, গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী হন শুভেন্দু। সামান্য ব্যবধানে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হন তাঁর কাছে। সেই নিয়ে এ দিন অভিষেক বলেন, "নন্দীগ্রামের মাটি অধিকারীদের শক্ত ঘাঁটি নয়, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। আপনারা চাইলে আগামী দিনে ওরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না। কারচুপি করে নন্দীগ্রামে জিতেছে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে বিচারব্যবস্থা যদি নিরপেক্ষ হয়, তার বিচার হবেই। পুরো নির্বাচন বাতিল হয়ে গিয়ে, আরও একবার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।"


রাজনীতিতে ভয়ের কোনও জায়গা নেই বলেও এ দিন- মন্তব্য করেন অভিষেক। বলেন, "রাজনীতিতে ভয়ের কোনও জায়গা নেই। মেরুদণ্ড সোজা রেখে লড়াই করতে এলাম। আজ এলাম, আবার তিন মাস পর নন্দীগ্রামে আসব। আজ টিজার দেখিয়ে গেলাম, সিনেমাটা দেখাব তিন মাস পর। কিন্তু আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। মেদিনীপুরকে গদ্দারমুক্ত করতে হবে, নন্দীগ্রামকে বেইমান মুক্ত করতে হবে। যেখানে দরকার পড়বে, আমি আসব। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব আমি।"