ঋত্বিক প্রধান, পটাশপুর : এখনও সংস্কার হয়নি কেলেঘাই নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের। তাই, বর্ষার আগে আশঙ্কায় রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, ভগবানপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বাসিন্দারা। একই আশঙ্কা করছেন ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়কও। যদিও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল।


কথায় বলে, নদীর ধারে বাস... ভাবনা বারোমাস। সামনেই বর্ষা । তার আগে আশঙ্কায় রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন ; টানা বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ, কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত পটাশপুর


কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে গত বছর জল ঢুকেছিল পটাশপুর, ভগবানপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। কোথাও কোথাও প্রায় তিন মাস মানুষকে জলবন্দি থাকতে হয়েছে। বর্ষার আগে, ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই সব এলাকার বাসিন্দারা। কারণ, এখনও কেলেঘাই নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার হয়নি। সবে শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজ। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বর্ষার আগে এই কাজ শেষ হবে না। তার উপর সমস্যা বাড়িয়েছে, কেলেঘাই নদীর চরে গজিয়ে ওঠা বেআইনি ইট ভাটা ও মাছের ভেড়ি। অভিযোগ, এগুলির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী বাঁধ!


ভগবানপুরের বাসিন্দা জহরলাল গিরি বলেন, এখানকার জল নিকাশি ভেঙে পড়েছে, বাঁধ মেরামত হয়নি। এবারও ডুবতে হবে। কারণ এই কাজ করা সম্ভব নয়।


বাঁধ মেরামতির কাজে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ২০১১ সাল থেকে কাজ হচ্ছে, খালি পকেট ভরাচ্ছে। বাঁধের কাজ কতটা হবে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।


যদিও ভগবানপুরের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দুশেখর মাইতি বলেন, এবার বন্যা হবে না। কারণ, ভেঙে যাওয়া নদীর বাঁধ সারানোর কাজ চলছে। তা তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ হবে।


সময়ে কি কাজ শেষ হবে ? এবারও বানভাসি হতে হবে না তো ? এখন এই ভেবেই ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। 


উল্লেখ্য, বছরের অন্যান্য সময় যে নদীগুলি এক্কেবারে তিরতিরে, বর্ষায় সেগুলিই ভয়াল রূপ নেয়। যেমন শিলাবতী, কেলেঘাই।