বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : নন্দীগ্রামের (Nandigram) দাউদপুরের হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির দখল নিল তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারম্যানের অনুগামীরা। মনোনয়ন থেকে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল তাই দেখা গেল বিজয়োল্লাসেও। তৃণমূলের (TMC) ২ গোষ্ঠীর মতবিরোধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি (BJP)।


মাত্র ৬টি আসন, তাও আবার একটি স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন। সিপিএম- (CPM) প্রার্থী দিলেও, তৃণমূলের লড়াই ছিল মূলত দলেরই অপর পক্ষের সঙ্গে। সেই নির্বাচন ঘিরেও ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধে রবিবার সকালে! সন্ধেয় ফলাফলের উচ্ছ্বাসেও প্রকট হল মত বিরোধ। নন্দীগ্রামের দাউদপুরের গুমগড় হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন। 


কোথায় বিরোধ


বেশ কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, নন্দীগ্রামের ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাস ও জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের বিবাদ বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। ৬টি আসনে পৃথকভাবে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। রবিবার সন্ধেয় ফলাফলে দেখা যায়, জয়ী হয়েছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়ার অনুগামীরা। অভিযোগ, এরপরই নন্দীগ্রামের ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাস ও জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের অনুগামীদের দিকে তেড়ে যান তাঁরা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি!


আগেও মতভেদ এসেছে প্রকাশ্যে। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলা পরিষদের সহ সভাপতি এবং নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল নেতা শেফ সুফিয়ান বলেছিলেন, 'ওঁকে মানার কোনও জায়গা নেই। দলকে জানিয়েছি, দলকে বলেছি, দল জানে। নিশ্চিত তার ব্যবস্থা নেবে।' এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছিলেনন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া।


অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ


তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়ার অভিযোগ, 'যারা আমাদের মতে বিরুদ্ধে গেছে, বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বলে মানুষ বিশ্বাস করেনি'। এনিয়ে, শেখ সুফিয়ান ও স্বদেশ দাস মুখ খুলতে চাননি। যদিও নন্দীগ্রাম (১) তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেছেন, 'যাঁরা জয়ী ধন্যবাদ। পীযূষ নিজেই বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন।'


জয়ের পর বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল করেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়ার অনুগামীরা। আর তৃণমূলের এই প্রকাশ্য মতবিরোধ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেছেন, 'তৃণমূল কাটমানির দল। পঞ্চায়েত মানুষ বিশ্বাস করবে না।'


আরও পড়ুন- 'এখনও আছিস? কত পেয়েছিস? টিপন্নি বন্ধুদের' দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক জহর সরকার