বিটন চক্রবর্তী, সুতাহাটা : তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের বিক্ষোভে ভেস্তে গেল তৃণমূলে (TMC) যোগদান সভা। হলদিয়ার সুতাহাটায় (Sutahata) কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান সভা ছিল। কিন্তু, দলের একাংশের বিক্ষোভে সভা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন কুণাল। বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানোর কথা ছিল।
ভেস্তে গেল যোগদান সভা-
ওই সভায় জেলার নেতৃত্ব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য শুরু করার আগে যোগদান পর্ব ছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব যখন কারা তৃণমূলে যোগদান করবেন একে একে নাম করতে শুরু করেন, তখন সভায় উপস্থিত দলের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের আজ যোগদান করানো হচ্ছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন। তাঁরা তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে সাহায্য করেছিলেন। তাঁদের কেন নেওয়া হবে বলে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা এনিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁদের বোঝাতে চাইলেও, তাঁরা শান্ত হননি। এই পরিস্থিতিতে কাউকে আজ যোগদান করানো হবে না বলে জানান কুণাল ঘোষ। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এরপরই পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দলীয় এক কর্মী বলেন, জামা বদলানোর মতো মানুষগুলো বদলে যায়। কিছুদিন আগে আমাদের এখানে সত্যব্রত দাসের নেতৃত্বে ওরা এখানে কাজ করছিলেন। আমাদের বেরোতে দিচ্ছিলেন না। আর আজ এসে বলছে আমরা আবার দলে ফিরতে চাই। ওরা নিজেদের ধান্দায় এসেছে। তাই ওদের আমরা সহ্য করতে পারব না।
যদিও কুণাল ঘোষের বক্তব্য, এটা একটা ছোট ভুল বোঝাবুঝি। কারণ, যেটুকু শুনেছি, ছেলেগুলো আগে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিল। কিন্তু, শুভেন্দু চলে যাওয়ার পর তাঁরা তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যাননি। তাঁরা তৃণমূলে রয়ে গিয়েছিলেন। আবার পুরোদস্তুর তৃণমূলেই কাজ করতে চান। এক্ষেত্রে যেহেতু তাঁরা শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন, তাই পুরনো যাঁরা তৃণমূল কর্মী তাঁদের একটু আবেগ আছে। বসে ঠিক করে নেওয়া হবে।
সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়া হয় কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)। পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরভোটের আগে কুণালকে দায়িত্ব শীর্ষ নেতৃত্বের। হলদিয়া, নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন ; নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে উৎখাতের ডাক, রাস্তায় ‘চোর’ ধ্বনি শুনলেন কুণাল