বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য এবার থেকে আর ক্যাম্পে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে না, বাড়িতেই ফর্ম নিয়ে পৌঁছে যাবেন আশা কর্মীরা,এমনই উদ্যোগ শুরু হতে চলেছে। ভিড় ও হয়রানি এড়াতে জেলা জুড়ে এমনই ব্যবস্থা করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মহিলারা। যদিও এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় দফায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পে এবারে সবথেকে নজর কেড়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। কিন্তু সেই প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করতে কেউ রাত থেকে লাইন দিচ্ছেন, কোথাও আবার ক্যাম্পের গেট খোলার সাথেসাথে ফর্ম সংগ্রহ করার জন্য হুড়োহুড়ির জেরে অসুস্থ হয়েও পড়ছেন অনেকেই। এই সমস্ত ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি ব্লকেই ক্যাম্প শুরুর নির্দিষ্ট দিনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতাধীন এলাকার মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম পৌঁছে দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে সেই সংক্রায় মিটিং করে সেই বিষয়ে আশা কর্মীদের ট্রেনিংও দিতে শুরু করে দিয়েছেন বিডিওরা।
করোনা আবহে ভিড় এড়াতে, ও মহিলাদের হয়রানি রুখতে এই ব্যাবস্থা বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। স্বাভাবিক ভাবেই জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মহিলারা।
তবে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের এই ফর্ম বিলি আসলে আই ওয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বাস্থ্য সাথীর ফর্মের মতবেই সমস্ত ফর্ম নালা নর্দমায় পড়ে থাকবে।মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এইসব করা হচ্ছে।
এর পাল্টা জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর বক্তব্য, বিজেপি সব সময় এমন কটাক্ষ করে। ভোটের আগেতো বিজেপি অনেক ফর্ম ছাপিয়ে বিলি করে বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকারকারের বিভিন্ন চাকরি পাবে, আজকে সে সব কোথায় গেলো। আসলে বিজেপি দেখছে মুখ্যমন্ত্রীর জনহিতকর প্রকল্পে মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, তাই এইসব কথা ওরা বলছে।