পুরুলিয়া: শুক্রবার বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল ২ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন। পুরুলিয়ার বরাবাজার ব্লকের বনডি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা চলাকালীন বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয় হঠাৎই। পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন মাঠে উপস্থিত যুবকরা। সেই সময়ে আচমকা ঐ বাড়িতে বাজ পড়ে। বজ্রপাতের আঘাতে বাড়িতে থাকা ১১ জন যুবক ও ১জন মহিলা গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধার করে পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই আহতদের ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতদের নাম সজল পরামানিক ও বেলনি মুর্মু। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।


গত এপ্রিলে দলীয় সভায় এসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি হন রাজনৈতিক দলের কর্মী। বাঁকুড়ায় তৃণমূলের সভায় এসে বজ্রপাতের বলি হন এক ব্যক্তি। বাজ পড়ে জখম হয়েছিলেন অন্তত ২৬ জন। বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার আশিনপুরের ঘটনা এটি। 


এ দিন তৃণমূলের সভায় যোগ দিতে ওই এলাকায় এসেছিলেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সভা শুরুর আগেই নামে বৃষ্টি। বৃষ্টি শুরু হতেই কার্যত কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যে যার মতো জায়গা খুঁজে নেয়। অনেকেই কাছাকাছি থাকা গাছের তলায় আশ্রয় নেন। সেই সময়েই একটি বড় বটগাছের উপর বজ্রপাত (Lightning) হয়। তখন বৃষ্টি থেকে বাঁচতে গাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকেই। জখমদের উদ্ধার করে ইন্দাস (Indus) ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় এক জনের। আহতদের সংখ্যা ২৬ বলে জানানো হয়। জখমদের কয়েকজনকে বর্ধমান (Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। 


এর আগেও বজ্রপাতে মৃত্যু:
এপ্রিলে রাজ্যজুড়ে ঝড়-বৃষ্টি (Storm) হয়। সেই দিন বজ্রপাতের ঘটনায় সারা রাজ্যে ১৫ জন মারা গিয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদের সালারে দুপুরে একটি খামারে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। সেই সময় বাজ পড়লে ২ জনের মৃত্যু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরেও ঘটেছে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। শালবনী থানার বাগমারিতে একজন এবং চন্দ্রকোণা থানার যাদবনগর গ্রামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় বাজ পড়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ঝোড়ো হাওয়ায় ঝাড়গ্রামের গড়মোহানিসহ বিভিন্ন জায়গায় উড়ে যায় একাধিক বাড়ির ছাউনি। বেশ কয়েকটি বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ে। ক্ষতি হয় ফসলের। জমি থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। হাওড়ার আমতা ও বাগনানে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতরা আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমতার শেরপুরে জমিতে ধান কাটছিলেন মহানন্দ ঘুকু। সেই সময়ে বাজ পড়লে তিনি জখম হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  নদিয়ায় বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। বেশ কয়েকজন জখম হন।