হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক কিশোরীর। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ায় (Purulia)। জানা গিয়েছে যে মৃতা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে পুরুলিয়া বরাকর রাজ্য সরকার উপর রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Raghunathpur Super Speciality Hospital) অদূরে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত ছাত্রীর নাম পিউ বাউরি (১৬)। বাড়ি আদ্রা থানা অন্তর্গত দোলনডাঙ্গা গ্রামে।


কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল?


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সাইকেল নিয়ে প্রাইভেট টিউশন পড়তে রঘুনাথপুরের দিকে যাচ্ছিল পিউ। সেই সময় পুরুলিয়ার দিক থেকে আগত বেপরোয়া ভাবে একটি চার চাকা গাড়ি তাকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা খেয়ে টাল সামলাতে না পেরে পিউ সড়ক থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে ক্ষেতের মাঝে চলে যায়। সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়েছিল সেই কিশোরী। সেই গাড়ির আরও কয়েকজন আহত হন। ঘটনার খবর দেওয়া হয় রঘুনাথপুর থানায়। রঘুনাথপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকরা পিউকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া বাকিদের মধ্যে আহত শিশুসহ চারজনের চিকিৎসা চলছে রঘুনাথপুর সুপারসিসিটি হাসপাতালে।


গতকাল মুর্শিদাবাদে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ছাত্রের


পথ দুর্ঘটনায় (road accident)মর্মান্তিক মৃত্যু (death)স্কুলপড়ুয়ার (school student)। মুর্শিদাবাদের (mursidabad)হরিহরপাড়ার মহিষমারা এলাকায় শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। আচমকা এই খবরে এলাকায় শোকের ছায়া। কার্যত বাকরুদ্ধ মৃত ছাত্রের পরিবার।


কী হয়েছে এদিন?
 
মৃতের নাম সাহিন শেখ। বছর বারোর ওই কিশোর নওদার কেদারচাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা। পড়ত হরিহরপাড়ার মহিষামারা ঘোড়ামারা হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও স্কুলের জন্য বেরিয়েছিল সাহিন। হঠাতই রাস্তায় একটি ট্রাক্টরের চাকার নিচে চলে আসে। সেখানেই পিষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হয় তার। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্রে করে এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিহরপাড়া ও নওদা থানার পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘাতক ট্র্যাক্টরটি আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু চালক এখনও ফেরার। এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরের মৃত্য়ুতে শোকের ছায়া কেদারচাঁদপুরে। কোথা থেকে কী হয়ে গেল এখনও বুঝে উঠতে পারছে না মৃতের পরিজনেরা। থমথমে পরিবেশ। চালকের খোঁজখবর করছে পুলিশ।