মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমানঃ দুর্গাপুরের কুয়ো থেকে রহস্যজনকভাবে ইসিএলের স্টোরের  নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধার হয়েছে (Durgapur Death Mystery)। মৃত ইঞ্জিনিয়ারের নাম গদলাভেতি ভরেনজানেইয়ুলু। জানা গিয়েছে, বছর ৩২-এর ওই ইঞ্জিনিয়ার অন্ধপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁকে কি খুন করে কুঁয়ো ভিতর ফেলে দেওয়া হয়েছে ? নাকি তিনি নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন ? ওই ইঞ্জিনিয়ারের দেহ ( Dead Body of a Engineer) উদ্ধার ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।


আরও পড়ুন, 'আপনার রক্ত কখনও বৃথা যাবে না' ২১-র আগে শহিদ-স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর


স্থানীয়রা কুঁয়োতে কিছু ভাসছে দেখে অন্ডাল থানার পুলিশকে খবর দেয়


পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, স্থানীয়রা কুঁয়োতে কিছু ভাসছে দেখে অন্ডাল থানার পুলিশকে (Andal Police Station)খবর দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অন্ডাল থানার পুলিশ। অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধার কার্য চালানো সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে অন্ডাল থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে (Durgapur Hospital) পাঠায়। তবে কী কারনে মৃত্যু ? পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে অন্ডাল থানার পুলিশ।


সকালে কাজে এসেছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়ার,কিন্তু তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ মেলেনি


জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে কাজে এসেছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ মেলেনি গদলাভেতির। পরিবারের তরফে অফিসে খোঁজ নিয়েও কোনও আশানুরুপ খবর পাননি। এরপরেই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। তবে খোঁজ না পেলেও ভিনরাজ্যে এসে এভাবে যে তাঁকে চিরকালের মতো হারাবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি পরিবার। তবে কুয়োতে কেউ ধাক্কা মেরে ফেললে যেমন আর্তনাদের আওয়াজ হবে , তা কি কেউ শুনেছিল ? আর যদি আত্মহত্যা হয়ে  থাকে, সেক্ষেত্রেও মৃত্যু ভয়ে আওয়াজ হবেই। কিন্তু এর কোনওটিই না হলে, আগে থেকেই অন্য কোনও উপায়ে খুন করে কুয়োতে ফেলে দিলে, তা ময়নাতদন্তেই প্রকাশ পাবে।