সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার (Purulia News) কোটশিলা বনাঞ্চল হয়ে উঠেছে চিতাবাঘের স্থায়ী ঠিকানা। ওই বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জাবর পাহাড় জঙ্গলে পুরুষ ও মাদি চিতাবাঘের পর এবার চিতাবাঘের শাবকের উপস্থিতি লক্ষ্য করল বন দফতর ( West Bengal Forest Department)। তবে মোট কটি শাবক রয়েছে সেই সংখ্যা জানতে ওই এলাকায় লাগানো হচ্ছে একাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা।
পুরুলিয়ার বনাঞ্চলে চিতার শাবকের হদিশ: পুরুলিয়া বনাধিকারিক জানান, গ্রামবাসীদের কাছে খবর পাই চিতাবাঘ শাবকের। সেই ছবি সংগ্রহ করেছে বন দফতর। পাঠানো হয়েছে অরণ্য ভবনেও। ঘটনায় আশপাশের এলাকায় সতর্ক বার্তা জারি করেছে বন দফতর। কোটশিলার সিমনি-জাবর জঙ্গলের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের সেওয়াতি পাহাড়ের যোগ রয়েছে। সেই পাহাড়েও আসা যাওয়া রয়েছে ওই চিতাবাঘ পরিবারের বলে খবর। বন দফতর আধিকারিকের কথায়, "পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চল বন্য প্রাণের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে এটা খুবই ভাল খবর''।
উল্লেখ্য, এর আগেও চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জঙ্গলে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়ে বন দপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় । পরে গত ২০ এপ্রিল একই জঙ্গলে রাত ৭:২০ মিনিট নাগাদ পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়ে ট্র্যাপ ক্যামেরায় । এক মাস পর গত ২৭ জুন রাতে সেকেন্ডে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে পুরুষ চিতাবাঘ এবং ২৯ জুন একই ক্যামেরায় ভোর বেলায় ধরা পড়ে মাদি চিতাবাঘের (Cheetah) ছবি।
উত্তর দিনাজপুরে বাঘের আতঙ্ক: উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালনাগিন এলাকায় বাঘের আতঙ্ক। বাসিন্দাদের ক্রমাগত অভিযোগের মুখে শেষমেশ গত সপ্তাহে খাঁচা পাতল বন দফতর। সেখানকার চা বাগান অঞ্চলের বাসিন্দাদের দাবি, ১০-১২ দিন ধরে এলাকায় একের পর এক গবাদি পশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, এনিয়ে একাধিকবার বন দফতরকে জানালেও, কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তাঁরা। গত সপ্তাহে বন দফতরের কর্মীরা এলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ। বাঘ না কি অন্য কোনও হিংস্র জন্তু? কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকা?উত্তর মিলবে খাঁচাবন্দি হলেই।তবে আপাতত আতঙ্কে ঘুম উড়েছে ইসলামপুরের কালনাগিন এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: Calcutta University: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হচ্ছেন আশিস চট্টোপাধ্যায়