সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: বদলির কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব দেখা দিয়েছে একাধিক স্কুলে। এই অভিযোগে, সোমবার পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে ১২ ঘণ্টার বনধ পালন করল কংগ্রেস। সকাল থেকে রাস্তাঘাটে খুব একটা গাড়ি চলতে দেখা যায়নি। বন্ধ ছিল অনেক দোকানপাটও। যদিও খোলা ছিল স্কুল। 


প্রশাসন সূত্রে খবর, যে শিক্ষকরা এক জেলায় ৫ বছরের বেশি রয়েছেন বা যাঁদের বাড়ির দূরত্ব কর্মস্থল থেকে অনেকটা বেশি, তাঁরা উত্‍সশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বদলি হতে পারবেন। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বাঘমুণ্ডি ব্লকের একাধিক স্কুলের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা এই প্রকল্পে বদলি নিয়ে নিজের জেলায় চলে গেছেন। ফলে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ।


এই পরিস্থিতিতে রবিবার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক ও বিডিওর সঙ্গে বৈঠকের পর, জেলাশাসক জানান, প্রথম পর্যায়ে বাঘমুণ্ডির ৬টি স্কুলে ১০ জন শিক্ষক পাঠানো হচ্ছে। 


পুরুলিয়ার কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, "আমাদের বনধ সফল, শুনেছি এখানে নাকি ঘাটতি পূরণ করতে মাত্র ১০ টিচার দেওয়া হয়েছে, কোথা থেকে নিয়োগ হল আগামী দিনে দেখব। প্রয়োজনে কোর্টে যাব। এখন আমরা বাঘমুন্ডির তথ্য পেয়েছি, আগামী দিনে গোটা জেলার তথ্য সংগ্রহ করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।" 


আরও পড়ুন, বিজেপি'র জন্য অক্সিজেনের খোঁজ, ফের মাঠে নামছেন মহাগুরু মিঠুন


তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কাশীনাথ মাজি বলেন, "ভিত্তিহীন বনধ, আমারে ব্লকের বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেছেন, গতকাল জেলাশাসকও এসেছিলেন, এবং প্রাইমারি স্কুলে ১০ জন নিয়োগ হয়েছে।" 


বাঘমুণ্ডি গার্লস হাইস্কুলে ১১০০ ছাত্রী। মাত্র ৩ জন শিক্ষিকা। টিচার ইনচার্জ রূপা রায় বলেন, "আমার স্কুলে এত ছাত্রী, মাত্র তিন শিক্ষিকা, গতকাল ব্লক অফিসে ডিএম গেছিলেন, আমাদের স্কুলে দুজন নিয়োগ, আজ জয়েন করেছন। ১৫-১৬জন টিচার হলে ভাল হত।" বাঘমুন্ডি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অমর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কংগ্রেসের বনধকে সমর্থন করছি, কারণ অনেক স্কুলে শিক্ষক নেই। তাই সকাল থেকে বাস বের করিনি।"