সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: নিহত তপন কান্দুর এবং মৃত পূর্ণিমা কান্দুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে মাঝরাতে পুরুলিয়ার ঝালদায় এলেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। সেখানে তিনি মৃত পূর্ণিমা কান্দুর ছেলে, মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পারিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো সহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মী সমর্থকরা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন শুভঙ্কর সরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই পরিবারের উপর ঝড়ঝাপটা কেন নেমে এল ? বারে বারে কোর্ট-কাছারি হয়েছে। কলকাতা উচ্চ আদালত বার বার তিরস্কৃত করেছে রাজ্য সরকারকে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য । আইন শৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। তাই রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে তপন কান্দুকে খুন করা হল। তারপর তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হল । পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সব জানা যাবে। পুলিশ প্রশাসন এই চক্রান্ত বার করতে পারে তবেই তাঁর ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে। বিচার পাওয়ার অধিকার সবার রয়েছে ।
পুরুলিয়ার ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্য়ু হল। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল রাতে হঠাৎ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন পূর্ণিমা। তাঁকে তড়িঘড়ি ঝালদা ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্য়ু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন পুরুলিয়া জেলার কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো, ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। ২০২২ সালের ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন, কৃষ্ণনগরে প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে ২ ক্লাবের মধ্যে সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ২
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছিল সিবিআই তদন্ত। এদিকে পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনেও তদন্ত চলেছিল। তবে জয়ী নিহত কাউন্সিলরের হত্যা মামলার পাশাপাশিই সেখানে উপনির্বাচন হয়েছিল ওই কেন্দ্রে। পুরভোটে কাকা তপন কান্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পদে দাঁড়িয়েছিলেন ভাইপো দীপক। যদিও শেষ অবধি সেই লড়াইয়ে হার মানেন ভাইপো।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।