পুরুলিয়া: কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে পুরুলিয়ায় (Purulia) প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Inner Clash)। রবিবার রাতে পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ডের সামনে স্থিত আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত 'পুরুলিয়া ম্যাক্সি ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন'-র কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসাও বাধে। ঘটনাই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।


তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন অনুমোদিত,'পুরুলিয়া জেলা ম্যাক্সি ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন'-র কার্যালয় জোর করে দখল করার অভিযোগ ওঠে পুরুলিয়া শহর তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি কাজল ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে। কার্যালয়ের বাইরে শহর তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি কার্যালয়ে থাকা ইউনিয়নের নথি সরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।'পুরুলিয়া জেলা ম্যাক্সি ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন'-র সদস্যদের অভিযোগ,' ১৯৯৯ সালে স্থানীয় ট্যাক্সি চালকদের দ্বারা তৈরি হয়েছিলো পুরুলিয়া ম্যাক্সি ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সেই ইউনিয়ন সরকারি রেজিস্ট্রেশনে নথিভুক্ত হয়। পরে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের ছত্রছায়ায় আসে তারা। স্থানীয় ম্যাক্সি ট্যাক্সি চালকদের সেই নিজস্ব কার্যালয় জোর করে দখল করার অভিযোগ ওঠে শহর তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন সভাপতি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরূদ্ধে। গোটা ঘটনায় তৃণমূল জেলা নেতৃত্বর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। যদিও কার্যালয় দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএনটিটিইউসি পুরুলিয়া শহর সভাপতি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


 সম্প্রতি ডোমকলে (Domkal) প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ওঠে (TMC Clash)। তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হওয়ায় হামলার অভিযোগ। ডোমকল থানায় অভিযোগ দায়ের আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ (Police)।  প্রসঙ্গত, হাওড়ার নাজিরগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যুব তৃণমূল নেতা আরিফ খানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। যুব তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুড্ডু খান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন, কলকাতা বইমেলায় মমতা, পরিবহণ মন্ত্রীকে কী নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ?


জানা গিয়েছে, আর এই গুড্ডু খান হলেন হাওড়া পুরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদের স্বামী । বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন গুড্ডু। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গুড্ডুকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০২১-এ যুব তৃণমূল নেতা আরিফের বাবাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। নিহত ওয়াজুল খান তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা ছিলেন। প্রসঙ্গত, গতবছর অগাস্টে তৃণমূল উপ প্রধানের বাড়িতে হামলা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।। প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও সেবার অভিযোগ উঠেছিল দলেরই নেতার বিরুদ্ধে।  এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'গুড্ডু খান, বিজেপিতে যোগদান করেছিল, 'এটা ঠিকই। বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। তারপর থেকে বিজেপির সঙ্গে তার আর কোনও সম্পর্ক নেই। আবার ঘরের ছেলে, ঘরে ফিরে গিয়েছিল। সে তৃণমূলেই ছিল।'