মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া: নদীর চরে পুঁতে রাখা ছিল তরুণীর রক্তাক্ত দেহ। একদিন পার, এখনও জানা যায়নি মৃতের পরিচয়। অধরা অভিযুক্তরাও। স্থানীয়দের দাবি, তরুণীর মাথা ও মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়। তাহলে কি নিহতের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন। কাছেই ঝাড়খণ্ড সীমানা, ভিনরাজ্যের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


এখনও জানা যায়নি মৃতের পরিচয়: পুরুলিয়ার (Purulia News) বরাবাজারে নদীর চরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি কেটে গিয়েছে। এখনও খোলেনি রহস্যের জট। জানা যায়নি নিহত তরুণীর পরিচয়। কে বা কারা, কী কারণে খুন করেছে, তার উত্তরও মেলেনি।  আর জি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই বুধবার কৃষ্ণনগরে পুজো মণ্ডপের কাছে এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ ও বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই পুরুলিয়ার বরাবাজারের ফতেপুর এলাকায় কুমারী নদীর চরে মাটি খুঁড়ে বছর পঁচিশের তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জায়গাটা দড়ি দিয়ে ঘেরা। পাহারায় রয়েছেন ২ সিভিক ভলান্টিয়ার। স্থানীয়দের দাবি, নদীর চরে উঁচু ঢিবি দেখে প্রথমে তাঁদের সন্দেহ হয়। চারপাশে রক্তের দাগ দেখে এগিয়ে যেতেই মহিলাদের পোশাকের কিছুটা অংশ মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার হয় অচেনা তরুণীর দেহ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহতের পরিচয় জানতে আশেপাশের ৪-৫টি গ্রামে খোঁজ নিয়েও কিছু জানা যায়নি। মানবাজার-বরাবাজার রোড থেকে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার ভিতরে কুমারী নদীর এই চর। এখান থেকে ঝাড়খণ্ড সীমানার দূরত্ব ২০-২৫ কিলোমিটার। নিহত তরুণী ও খুনে জড়িতদের সঙ্গে ভিনরাজ্যের যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

স্থানীয়দের দাবি, নিহত তরুণীর মাথা ও মুখ থেঁতলানো ছিল। তবে কি পরিচয় গোপন করার চেষ্টা হয়েছিল? সেই কারণেই ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয় মাথা ও মুখ? তরুণীর ওপর কি কোনও শারীরিক নির্যাতন হয়েছিল? কোনও প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি। কে বা কারা তরুণীর খুনের সঙ্গে যুক্ত, তাও রহস্যে মোড়া। কীভাবে খুন তা ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে বরাবাজার থানার পুলিশ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Bankura Train Fire: ফের দূরপাল্লার ট্রেনে আগুন-আতঙ্ক, ধোঁয়ায় ঢাকল স্টেশন