হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : বিগত পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা নির্বাচনে শিক্ষা নিয়ে সৌগত রায়, অনুব্রত মণ্ডলরা যখন সংযত হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, তখন পুরুলিয়ায় ভাইরাল হয়েছে টিএমসিপি নেতার হুমকি ভিডিও ! বললেন, কলেজে টিএমসিপি ছাড়া কিছু করা যাবে না ! যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তরজা। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। 


এখানে সংগঠন চলবে না। এখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছাড়া অন্য কিছু চলবে না। কোনও রাখঢাক নেই ! কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পরিষ্কার হুঁশিয়ারি, শাসকদলের ছাত্র সংগঠন ছাড়া কিছু করা যাবে না ! পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর কলেজের সামনের এই ভিডিও-ই এখন ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। 


কিন্তু, সৌগত রায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা যখন বিগত পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে দলকে সংযত হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, সেই সময় শাসকদলের ছাত্র নেতার এই ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। যাঁকে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি এলাকার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা এবং কলেজের প্রাক্তন ছাত্র অরিজিত্‍ ঘটক।  


পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাংশের দাবি, বৃহস্পতিবার কলেজের সামনে SFI-এর তরফে পোস্টার লাগানো হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় বাধা দেন টিএমসিপি নেতা। শুরু হয় বচসা। অরিজিৎ ঘটক(ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ) বলেন, এখানে সংগঠন চলবে না। এখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছাড়া অন্য কিছু চলবে না।


SFI কর্মী বলেন : আপনিই তো বলছেন সিপিএম জিরো। তাহলে ভয়টা কীসের? 


অরিজিত্‍ ঘটক : ভয় কী ? চলবে না। চালাতে দেব না। এখানে চলবে না। এখানে চলবে না। এখানে চলবে না। ইমপসিবল। 


SFI কর্মী তখন প্রশ্ন করেন, আপনারা নিয়ম বানাবেন ? 


অরিজিত্‍ ঘটক : হ্যাঁ। আমরাই নিয়ম বানাব।


 



রঘুনাথপুর কলেজের SFI কর্মী ও ছাত্রী শ্রেয়া হালদার বলেন, গতকাল পোস্টার লাগাচ্ছিলাম। তখন আমাদের টিএমসিপি বাধা দেয়। হুমকি দেয়।


যদিও অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতা অরিজিৎ ঘটক বলেন, হুমকি দেওয়া নয়। কথা কাটাকাটি হয়েছে। ওরাও এসেছিল। ব্যস, কথা কাটাকাটি হয়েছে।


চাপের মুখে সুর নরম করেছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন! তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি  কিরিটি আচার্য বলেন, আমিও দেখেছি। আমরা এরকম রাজনীতিতে প্রশ্রয় দিই না। বিরোধীরা এখানে রাজনীতি করতেই পারে। সবাইকে স্বাগত।


SFI-এর পুরুলিয়া জেলার সম্পাদক সুব্রত মাহাতো বলেন, আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব।


রঘুনাথপুর কলেজের অধ্যক্ষের বক্তব্য, যেহেতু ঘটনাটি কলেজের গেটের বাইরে ঘটেছে, তাই তাঁর কোনও দায় নেই।