হংসরাজ সিংহ, রঘুনাথপুর (পুরুলিয়া) : স্কুলে নেই রসায়নের (Chemistry) কোনও শিক্ষক। অগত্যা একাদশে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তিই বন্ধ রাখল পুরুলিয়ার (Purulia) রঘুনাথপুরের গোবিন্দ দাস ল্যাং ইন্সটিটিউশন। গত ৩ জুন মাধ্যমিকের (Madhyamik 2022) রেজাল্ট বেরিয়েছে। তার ঠিক এক সপ্তাহ পর উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল।


কিন্তু, একাদশে কলা ও বাণিজ্য বিভাগে ভর্তির কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হলেও, উল্লেখ নেই বিজ্ঞান (Science) বিভাগের। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, গত এপ্রিলে স্কুলের রসায়ন বিভাগের একমাত্র শিক্ষক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। ওই পদে এখনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। সেই কারণেই বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি নেওয়া বন্ধ রাখতে হয়েছে। জি ডি ল্যাং ইন্সটিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপকুমার মণ্ডল বলেছেন, 'সায়েন্সের অ্যাডমিশন বন্ধ রেখেছি। টিচার নেই। রসায়ন বিদ্যার শিক্ষক না থাকার বিষয়টি উচ্চমাধ্যমিক সংসদ, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানানো হয়েছে।'


বিপাকে পড়ুয়ারা


চলতি বছরে এই স্কুল থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২২ জন। তাদের মধ্যে অনেকেই নিজের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশে ভর্তি হতে চায়। স্কুলের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে তারা। মাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চ মাধ্যমিকেও নিজেদের স্কুল থেকেই পড়তে চায় তারা। গোটা পরিস্থিতি পৌঁছেছে বিডিও-র কানেও। এবিষয়ে রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রবিশঙ্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি জানেন। দ্রুত শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করব।


এদিকে, শিক্ষিকা কম থাকায় রোজ ক্লাস করানো সম্ভব নয়, একাদশে ভর্তির সময় এই মর্মে অভিভাবকদের থেকে মুচলেকা নিতে চাইছে ঝালদা (Jhalda) উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ এমনই। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ভর্তি নেব আর অভিভাবকদের সঙ্গে সমঝোতা করে মুচলেকা নিয়ে যে যখন যে ক্লাস হবে, তাদের নেব, বাকিরা বাড়িতে থাকবে। ভর্তি করে রোজ আনা-চলে যাওয়া সম্ভব নয়।' 


আরও পড়ুন- হাওড়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ