কলকাতা: একবছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনবার। ফেল সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির ঘটনা। পুরুলিয়া, রানাঘাটের পর রানিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন বারবার টার্গেট করা হচ্ছে সোনার দোকান (Gold Shop Dacoity)? 


ফের সোনার দোকানে ডাকাতি: গতবছর ২৯ অগাস্ট প্রায় একই সময়ে প্রথমে পুরুলিয়া এবং তারপর রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই ঘটনার বছর ঘোরার আগেই ওই সংস্থার আরও এক শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এদিন রানিগঞ্জের শোরুমে লুটপাট করে গুলি চালাতে চালাতে পালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সঙ্গে কয়েক রাউন্ড গুলির লড়াইয়ের ছবি ধরা পড়ে সোনার দোকানের বাইরের সিসি ক্যামেরায়। একপক্ষ অপর পক্ষকে দেখে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে এক দুষ্কৃতী। গুলির লড়াইয়ের সময় বুলেট এসে লাগে সোনার দোকানের সামনে রাখা গাড়ি এবং বাইকেও। রাস্তার উপরও ছড়িয়ে যায় গুলির খোল। এনকাউন্টারে রক্তাক্ত হলেও শেষপর্যন্ত বাইকে চড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এদিন কয়েক লক্ষ টাকার গয়না লুট করেছে তারা। 


কী ঘটেছিল রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায়? 


২০২৩ সালের ২৯ অগাস্ট, ভরদুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। লুট করা হয় প্রায় ৯০ শতাংশ গয়না। পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে কার্যত গুলির লড়াই চলে দুষ্কৃতীদের। গুলিবিদ্ধ হন এক জন, জখম হন আরও একজন। ধাওয়ার করে ৪ জনকেই ধরে ফেলে পুলিশ। জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শোরুমে ঢোকে ওই ডাকাত দল। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া কর্মীদের। ফোন ব্যবহার করতেও বারণ করা হয়। শোরুমের ভেতরে এবং বাইরে ৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাতে জখম হন শোরুমের কর্মীদের মধ্যে কয়েকজন। ওইদিন প্রায় একইসময়ে ৭ জনের ডাকাত দল চড়াও হয় পুরুলিয়ার সেনকো গোল্ডের শোরুমে। সেই সময় জানা যায়, প্রায় ৮ কোটি টাকার গয়না লুট করেছে তারা। গত বছরের এই দুই ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সঙ্গে বিহারের একটি গ্যাংয়ের যোগসূত্র পেয়েছিল। তখন বিহারের বাসিন্দা বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee:'বাংলার মানুষের কাছে ঋণী, আরও দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে' বার্তা অভিষেকের