হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : বাংলা কি দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গেল? বিরোধীদের এমনই প্রশ্নের আবহে এখনও অধরা পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতরা। ২ দিন পরেও তাদের হদিশ মেলেনি।


সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের সন্ধান পেতে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৭ জনের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। পুরুলিয়া শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন পথে পালিয়েছিল ডাকাতরা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের।


মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ খাস পুরুলিয়া শহরে, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের শোরুমে ডাকাতদল চড়াও হয়।  ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নামোপাড়ায় ওই শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রায় ৮ কোটি টাকার গয়না লুঠ হয় বলে শোরুম মালিকের দাবি। পুলিশের অনুমান, অপারেশন শেষ করে পুরুলিয়া লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে পালাতে পারে ডাকাতরা।


শোরুমে ডাকাতির সময়, সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক ভেঙে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পাশেই নির্মীয়মাণ প্রকল্পে লাগানো সিসি ক্যামেরায় তাদের চম্পট দেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, দুটি মোটরসাইকেলে ৬ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি মোটরসাইকেলে ৩ জন রয়েছে। মাঝের জনের হাতে লাল রঙের ব্যাগ, একদম পিছনের জনের মাথা হেলমেটে ঢাকা। শোরুমের মালিকের দাবি, রেকি করেই ৮ কোটি টাকার গয়না লুঠ করেছে ডাকাতদল।


পুরুলিয়ার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ডাকাতির ১৮ মিনিট পরে পুলিশকে ফোন করা হয়েছিল। ওই ১৮ মিনিটের মধ্যে ঝাড়খণ্ড সীমানার দিকে অনেকটাই এগিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেনকোর শোরুমে সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক ওপেন জায়গায় রাখা ছিল। ডাকাতির পর দুষকৃতীরা সেই হার্ড ডিস্কও নিয়ে চলে যায়। সেনকোর শোরুমের বিপদঘণ্টিও তিন মাস ধরে খারাপ অবস্থায় পড়ে ছিল। ডাকাতদল ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গেছে। আশা করি, দুষ্কৃতীরা দ্রুত ধরা পড়বে।


এদিকে রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতির তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। সূত্রের খবর, কয়লা মাফিয়া রাজু ঝার (Raju Jha Murder) খুনিই রানাঘাটের ডাকাত কুন্দনকুমার সিংহ, রানাঘাটে ডাকাতিকাণ্ডে গ্রেফতার কুন্দনের হাতেই খুন হন রাজু ঝা। গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে। সূত্রের খবর, শার্প শ্যুটার কুন্দনের হাতেই খুন হন রাজু ঝা। যে ঘটনার পর রাজুকে খুনের পরই গা ঢাকা দিয়েছিল বিহারের বৈশালীর কুন্দন। কার নির্দেশে খুনের পর ডাকাতি, নেপথ্যের মাথা কে ? তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।


আরও পড়ুন ; 'কয়লা মাফিয়া রাজু ঝার খুনিই রানাঘাটের ডাকাত কুন্দনকুমার সিংহ', তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়