সন্দীপ সরকার, পুরুলিয়া : পুরুলিয়ায় ফের দুটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল (TMC)। এখনও পর্যন্ত শাসকদলের ঝুলিতে এসেছে এমন চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat)। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত দখলে মরিয়া তৃণমূল পুলিশ-প্রশাসনকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে, গায়ের জোরে দলবদল করাচ্ছে। উন্নয়নে সামিল হতে বিরোধী প্রার্থীরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন, পাল্টা দাবি শাসক শিবিরের।


পুরুলিয়ার (Purulia) তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া সোমবারই দাবি করেছিলেন, যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো এখনও ত্রিশঙ্কু আছে, সেগুলো অনেক সদস্যরাই যাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং আমরা বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করার পর সেই পঞ্চায়েতগুলো গঠনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আর ঠিক তার পরের দিনই দলবদলের জেরে পাল্টে গেল দুটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতের সমীকরণ। 


পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের জোড়াডি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিল। ২২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১১টি আসন দখল করে। নির্দল ৫, বিজেপি ৩, কংগ্রেস ২ ও সিপিএম একটি আসনে জেতে। সিপিএম প্রার্থীকে দলে যোগদান করিয়ে ম্যাজিক ফিগার ১২-য় পৌঁছয় তৃণমূল। একই ছবি জয়পুর ব্লকে। জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতও ত্রিশঙ্কু হয়। মোট আসন ১৫টি। এর মধ্যে তৃণমূলের দখল করে ৭ টি আসন। বিজেপি ৬ এবং নির্দল ২টি আসনে জয়ী হয়। এক নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ম্যাজিক ফিগার ৮ ছুঁয়ে ফেলে শাসকদল। 


পুরুলিয়ায় ১৭০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২৩ টি পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ছিল ৩৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এর মধ্যে ৪ টি দখল করেছে শাসকদল। এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবির। অন্যদিকে, বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকেও শিবির বদলের ছবি। সোমবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন রাজগ্রাম ও গোড়াশা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী চার প্রার্থী।                                                 


আরও পড়ুন- গণনার পর থেকে বাড়ি ছাড়া, বোর্ড গঠনের আগে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কার্যালয়ে আশ্রয় সিপিএম-কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial