ঐশী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতাল-কাণ্ডে চাদর-রহস্য় অব্য়াহত। পুলিশ অস্বীকার করলেও, আর জি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের মা যে দাবি করেছিলেন, এবার সেই একই দাবি করলেন তাঁদের এক প্রতিবেশীও। ঘটনার দিন হাসপাতাল থেকে শ্মশান অবধি, নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। শেষকৃত্য়ের আগে শ্মশানের নথিতে সইও করেন তিনি।
আর জি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের মা যে দাবি করেছিলেন, এবার সেই একই দাবি করলেন তাঁদের এক প্রতিবেশীও। যার জেরে আর জি কর-কাণ্ডে চাদর-রহস্য় অব্য়াহত। ৯ অগাস্ট R G কর মেডিক্যাল কলেজে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ নীল চাদরে ঢাকা রয়েছে। কিন্তু, এনিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন নিহত চিকিৎসকের মা। গতকাল তিনি বলেন, "তিনটের সময় নাকি একজন আমার মেয়ের কাছে গেছিল। সে নাকি দেখেছিল, আমার মেয়ে লাল চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে। পরে একজন ফটো দেখেছে, সে নীল চাদর গায়ে দেওয়া। আমরা যখন দেখেছি, তখন দেখেছি সে সবুজ চাদর গায়ে দেওয়া।''
কী জানালেন প্রতিবেশী?
একই দাবি করলেন নিহত চিকিৎসকের প্রতিবেশী ও পারিবারিক বন্ধু সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। চাদরের রং কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি জানিয়েছেন, সবুজ রঙের চাদর দেখেছেন। যদিও গতকাল সবুজ চাদরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশ বৃহস্পতিবার সবুজ চাদরের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও, সঞ্জীব মুখোপাধ্য়ায় নিজের অবস্থানে অনড়। সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় জানান, "সেটা উনি দায়িত্ব নিয়ে বলছেন। আমরা গেছি, আমরা দেখেছি যেটা, সবুজ চাদর। অতো ওরকম সাদা চাদর ঘেরাটেরা দেখিনি, চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার এই সমস্ত সব রয়েছে, বেঞ্চ রয়েছে। বডিটা পড়ে রয়েছে, ওইভাবে ম্যাট্রেসের উপরে পড়ে রয়েছে, একটা সবুজ চাদর রয়েছে।''
এই চাদর প্রসঙ্গে গতকাল কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, "যে চাদর দিয়ে কভার করা হয়েছিল, সেটা নীল। আমাদের ফটো, ভিডিওগ্রাফি তিনটেতেই চাদরের রং লাল। ইনকোয়েস্টের সময় চাদর নীল ছিল। আমাদের সিজার লিস্টে যেটা, সেটা নীল। সবুজ বা কিছু নয়। যেটা লাল সেটা আলাদা সিজার। আগে পাওয়া গেছে। সবুজের কোনও অস্তিত্ব নেই। যেটা লাল বলছেন, ওটা চাপা দেওয়ার নয়।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: East Midnapore: আর জি কর-কাণ্ডের আবহে নির্দেশিকা বিতর্ক, ৯৩জন চিকিৎসককে নোটিস