কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (R G Kar Medical College) চত্বরে সিসিটিভি (CCTV) নিয়ে তৎপরতা। হস্টেল-সহ বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি লাগানো আছে। বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


শুরু তৎপরতা: প্রাণের বিনিময়ে ফিরল সচেতনতা? বিলম্বিত বোধোদয়ের পুনরাবৃত্তি আর জি কর-কাণ্ডেও। ডাক্তার ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, খালপাড়ের মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে CCTV নজরদারি নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতার ছবি ধরা পড়েছে। আর জি কর মেডিক্যালে হস্টেল-সহ বিভিন্ন জায়গায় CCTV লাগানো আছে। কোথায় কোথায় তা বসানো আছে? তার কতগুলি সচল আছে? গুরুত্বপূর্ণ আর কোন কোন স্ট্র্যাটেজিক পজিশনে CC ক্যামেরা বসানো যেতে পারে, বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে তা চিহ্নিত করা শুরু করেছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর জি মেডিক্যালে আরও CC ক্যামেরা বসানোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে স্বাস্থ্য দফতর। 


গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনা ঘটে আরজি করে। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশেরই এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ব্লু-টুথ হেডফোনই ধরিয়ে দেয় অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর মেলে, গোটা ঘটনাটি ঘটে রাত তিনটের পর। এ প্রসঙ্গে ব্লু-টুথ যুক্ত নেক ব্যান্ড ছাড়াও চেষ্ট ডিপার্টমেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে রাতে সঞ্জয় রায়ের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত তিনটে নাগাদ এক রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে মহিলা চিকিৎসকের কাছে আসেন এক জুনিয়র ডাক্তার। তাঁর দাবি, তিনি দেখেন লাল রঙের একটি ব্ল্যাঙ্কেট গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছেন মহিলা চিকিৎসক। 


জরুরি বিভাগের বিল্ডিয়ের চারতলায় রয়েছে চেষ্ট মেডিসিন বিভাগ। গেট দিয়ে ঢুকে বা-দিকে প্রথমেই রয়েছে একটি স্টোর রুম। তারপর পর একে একে মেল ও ফিমেল ওয়ার্ড। অন্যদিকে গেট দিয়ে ঢুকে ডান দিকে রয়েছে সেমিনার হল, যেখানে মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, চেষ্ট মেডিসিন বিভাগে ঢোকার গেটের ওপরে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। সেই ক্যামেরায় রাত তিনটের পর ৪-৫ জনের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। যার মধ্যে দেখা যায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেও। এই ফুটেজ দেখার পরই, সেই চার-পাঁচ জনকে ডেকে পাঠানো হয়। ঘটনার পরের রাতেই আটক করে আনা হয় সঞ্জয়কে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় বাকিরা সন্তোষজনক উত্তর দিলেও, সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ওত রাতে ওই বিভাগে সে কী করতে গেছিল? উত্তরে সঞ্জয় জানায়, এক রোগীর খোঁজখবর নিতে। কিন্তু ওই রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সঞ্জয় সেখানে যায়নি। এরপরই জেরায় ভেঙে পড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়। স্বীকার করে নেয় অপরাধ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: R G Kar News: কারা ডিউটিতে ছিলেন তাণ্ডবের রাতে? আরজি কর কাণ্ডে তথ্য চাইল পুলিশ