রুমা পাল, কলকাতা : ধূপগুড়ির (Dhupguri) জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর শপথ ঘিরে টানাপোড়েন। শপথ ঘিরেও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ! জয়ের ১৫ দিন পরেও বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেননি জয়ী প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। এদিকে সূত্রের খবর, আজ বিকেলেই রাজভবনে নির্মলচন্দ্র রায়ের (NirmalChandra Roy) শপথগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যদিও রাজভবনের তরফে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ধূপগুড়ির জয়ী তৃণমূল প্রার্থীও দাবি, রাজভবনের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।


রাজভবনের অফিসিয়াল এনগেজমেন্ট লিস্টে উল্লেখ করা আছে, আজ সাড়ে ৪টেয় ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। কিন্তু রাজভবন সূত্রে জানা গেছে, যদি বিধায়ক আসেন, তাহলে তাঁর শপথ হবে। অর্থাৎ, রাজভবন সময়টা রেখেছে, কিন্তু আসবে কি না সেটা নিয়ে দোলাচলে রয়েছে রাজভবন। 


অন্যদিকে পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, যে পদ্ধতিতে রাজ্যপাল এই জয়ী প্রার্থীকে রাজভবনে ডেকে শপথ দিতে চাইছেন, তা নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ, এর আগে কখনো এরকম ঘটেনি। সাধারণত নিয়ম, বিধানসভাতেই বিধায়কের শপথ পাঠ করানো হয়। কয়েকদিন আগেই রাজভবন থেকে ফোন করা হয়েছিল অধ্যক্ষকে। বলা হয়েছিল, শনিবার দিনেই আসতে পারবেন। কিন্তু, শনিবার যেহেতু ছুটির দিন, তাই ওই দিনটা যেন না রাখা হয়। এরপরই রাজভবন থেকে এমএলএ-কে ফোন করা হয়, তাঁর আজকের দিনে শপথগ্রহণ। এই পরিস্থিতিতে পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, একেবারে পরিষদীয় ব্যবস্থাকে এড়িয়ে রাজভবন শপথগ্রহণের ব্যবস্থা করেছে। এমনটা হতে পারে না। এটা একটা রাজনৈতিক এজেন্ডা। দিল্লির নির্দেশে এ ধরনের কাজ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আসার পরেই তিনি কথা বলবেন। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।


বিজেপির (BJP) হাতে থাকা ধূপগুড়ি আসনটি সম্প্রতি উপনির্বাচনে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। গত লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলার ৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তারমধ্যে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর এগিয়ে থাকার ব্যবধান ছিল ১৭ হাজার ৭৬৬ ভোট। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে সেই ব্যবধান কমলেও, ধূপগুড়িতে তৃণমূলের মিতালি রায়কে ৪ হাজার ৩৫৫ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়। যাঁর মৃত্যুতে উপনির্বাচন হয় ধূপগুড়িতে! যেখানে ২০১৬-য় জেতা আসন পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল।


আরও পড়ুন ; হাতছাড়া ধূপগুড়ি, শক্তঘাঁটি উত্তরবঙ্গেও কি তাহলে আলগা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের রাশ ?