ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও জয়ন্ত পাল, রাজারহাট : রাজারহাটে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ-অবরোধ করেন মৃতের পরিজন ও প্রতিবেশীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় বিধায়কের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। আর এই ঘটনাতেও শুরু হয়েছে রাজনীতি।


থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ। বাঁশ ফেলে রাস্তা অবরোধ। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা-ধস্তাধস্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার অভিযোগ। পুলিশের মারে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজারহাট থানা চত্বর।


স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাজারহাটের চাঁদপুরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে সঞ্জয় হুলপাত্র নামে এক যুবককে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এদিন সকালে ওই যুবকের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মৃতের পরিজন ও প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশই পিটিয়ে মেরেছে সঞ্জয়কে।


মৃতের এক প্রতিবেশী বলেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। গন্ডগোলের খবর পেয়ে থানায় চলে আসেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনিও। এর পরই পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বিধায়ক। রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় সাহায্য ও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।


তবে, তাদের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি নিউটাউন জোন বিশপ সরকার বলেন, মদ্যপ অবস্থায় আনা হয়েছিল ওঁকে। আজ সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে মারা যান, দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই। ক্যাম্প থেকে আনা হয়।


এদিকে, এই ঘটনাতেও লেগেছে রাজনীতির রং।  রাজারহাটের বিজেপি নেতা হাসান আলি বলেন, মৃত ব্যক্তি আমাদের কর্মী। পুলিশ পিটিয়েছে। আমাদের দাবি, সত্য উদ্ঘাটন করতে হবে। আন্দোলন চলছে


এদিকে রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল নেতা প্রবীর কর বলেন, রাস্তায় কেউ যদি গন্ডগোল করে তাহলে কী হবে, অসুস্থ হয়েছিল। বিজেপির চক্রান্ত।