অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ওমিক্রন আক্রান্ত (Omicron Affected) নটিংহ্যাম ফেরত রাজারহাটের (Rajarhat) বাসিন্দা। কলকাতার (Kolkata) একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আইনের ছাত্র। পরিবারের অভিযোগ, দাবি করেও চিকিৎসার খরচ মেলেনি বিমা সংস্থার কাছ থেকে।
একে ওমিক্রন-সংক্রমণ। তারওপর বিমা সংস্থার থেকে চিকিৎসার জন্য মেলেনি কানাকড়ি। এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। রাজারহাটের বাসিন্দা কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ইংল্যান্ডের (England) নটিংহ্যামে আইনে স্নাতকোত্তর করছেন।
পরিবার সূত্রে খবর, ২৬ তারিখ ভোরে কলকাতায় ফেরে তাঁদের ছেলে। বিমানবন্দরে কোভিড টেস্টে ওমিক্রন ধরা পড়ে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেক আমরি হাসপাতালে (AMRI Hospital)। সেখান থেকে তাঁকে ভর্তি করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। বর্তমানে এখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
পরিবারের দাবি, সরকারের তরফে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্স-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও, সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা বাবদ খরচ দাবি করলেও বিমা সংস্থা তা দিতে রাজি নয়। সল্টলেক আমরি হাসপাতাল ও অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এ বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই। যাবতীয় দায় বিমা সংস্থার।
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কোভিড চিকিত্সায় নতুন নিয়মবিধি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রোটোকল অনুযায়ী, দু’ ভাগে ভাগ করা হয়েছে করোনা রোগীদের। যাঁরা উপসর্গহীন তাঁদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি ব্যবহারের উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন নিয়মবিধিতে।
তবে এও বলা হয়েছে, এই থেরাপি ওমিক্রন আক্রান্তের ক্ষেত্রে সেভাবে কার্যকরী নয়। উপসর্গহীনদের চিকিত্সায় মালনুপিরাভিরও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নতুন প্রোটোকলে। উপসর্গ থাকলে তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও রয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। কোন রোগীকে কোন ধরনের ওয়ার্ডে রাখা হবে তাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন প্রোটোকলে।