সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর: মেদিনীপুরে রাম মন্দিরে (Ram Mandir) দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, ঘোষিত কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও, ফোন করে মন্দিরের চাবি আনাতে হয়েছে। পুরোহিতকেও মন্দিরে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়।


বাধা দেওয়ার অভিযোগ: গতকাল সন্ধেয় মেদিনীপুর পুরসভার নব নির্মিত রাম মন্দিরের সামনে সভামঞ্চ থেকে এই অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সভামঞ্চের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ হোর্ডিং লাগানো নিয়েও কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ। গতকাল দিনভর নানা কর্মসূচি সেরে সন্ধেয় তিনি পৌঁছন মেদিনীপুর শহরের গাঁধীঘাট রামমন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে বক্তব্য রাখেন। আর সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, "ফোন করে মন্দিরের চাবি আনতে হয়েছে। পন্ডিতকে মন্দিরে আসতে মানা করে দেওয়া হয়েছে। যাদের বাধা দেওয়া অভ্যাস, তারা চেষ্টা করছে। শুনলাম এই মন্দিরের চাবি প্রশাসন দিতে চাইনি আমাদের। শেষ অবধি চাবি জোগাড় হয়েছে।" পাশাপাশি তাঁর সভাস্থলের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বড় বড় হোর্ডিং রাখা ইস্যুতে কটাক্ষ করে বলেন, "দৃশ্য দূষণ করার চেষ্টা হয়েছে।" মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল পরিচালিত মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সৌমেন খান। তিনি বলেন, "এত রাম ভক্ত হলে, গত পাঁচ বছরে দিলীপ ঘোষ কেন একটাও রাম মন্দির তৈরি করলেন না?''


গতকাল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলুড় মঠে নানা অনুষ্ঠান হয়। গতকাল সন্ধে থেকেই আলোর মালায় সেজে উঠেছিল বেলুড় মঠ চত্বর। অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে তারাপীঠ মন্দিরে আয়োজন করা হয় বিশেষ যজ্ঞের। এক কুইন্টাল বেল কাঠ, পাঁচ টিন ঘি দিয়ে যজ্ঞ সম্পন্ন হয়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের এই রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। ফুল-মালায় সেজে উঠেছিল, ১৯৪১ সালে তৈরি হওয়া এই মন্দির। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সাজ সাজ রব ছিল এরাজ্যেও। দমদম হনুমান মন্দির থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত কলস যাত্রার আয়োজন করা হয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Ram Mandir: প্রতিদিন ৫০ হাজার লাড্ডু তৈরি, অযোধ্যার হেঁশেলে তুঙ্গে ব্যস্ততা