আবির দত্ত, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণে বাংলা যোগের অভিযোগে উত্তাল বঙ্গ-রাজনীতি। বিস্ফোরণের ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে ২ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। আর তারপরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন,'দুর্ভাগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে' ।
এরপর উত্তর দিতে দেরি করেনি রাজ্য পুলিশও। তারা ট্যুইটে দাবি করে, এনআইএ ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথ অপারেশনের পরই । আবার পাল্টা উত্তর দেন অমিত মালব্য । বলেন, ' পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পদত্যাগ করেছেন নাকি আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তাঁর দুর্বল ট্র্যাক রেকর্ড নিয়ে কথা বলতে তিনি অক্ষম? প্রতিবার তাঁর কোন উত্তর থাকে না, যা প্রায়শই হয়, তাঁকে আড়াল নিতে হয়।
সূত্রের খবর, তাদের ধরতে রাজ্য় পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এনআইএ। পরিকল্পনা মতো গতকাল গভীর রাতে হোটেলে হানা দিয়ে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়নি। একেবারে শেষ মুহূর্তে স্থানীয় থানাকে জানানো হয়। ধৃতরা যাতে সতর্ক না হয়ে যায় তার জন্য় পুলিশকে সাদা পোশাকে দূর থেকে নজর রাখতে বলা হয়।
ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর ইলেকট্রনিক গেজেট, ল্য়াপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। ধৃত মুসাভির হুসেন শাজিব মহম্মদ জুনের শাজিব নামে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়েছিল। আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা বিগনেস ওরফে সুমিত নামে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়েছিল। আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা কর্ণাটকের আইএসআইএস-এর সদস্য বলে সূত্রের দাবি। ধৃত দু'জনেরই মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা করে।
ধৃতের মধ্য়ে একজন রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে কেন্দ্রীয় গোয়ন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি। এনআইএ সূত্রে দাবি, ভুয়ো পরিচয়ে দিঘায় আত্মগোপন করে ছিল তারা। ধৃত মুসাভির হুসেন শাজিব মহম্মদ জুনের শাজিব নামে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়েছিল। আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা বিগনেস ওরফে সুমিত নামে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়েছিল। আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা কর্ণাটকের আইএসআইএস-এর সদস্য বলে সূত্রের দাবি। ধৃত দু'জনেরই মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা করে।
গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই বিস্ফোরণে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানায়, এই বিস্ফোরণ ঘটাতে আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছিল। কিন্তু আতঙ্ক গ্রাস করে ক্রেতাদের। সেই বিস্ফোরণের বেশ কয়েকদিন পর নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করে কাফেটি খোলে।