সুনীত হালদার, হাওড়া: প্রচণ্ড গরমে রীতিমত পুড়ছে রাজ্য। সেই পরিস্থিতিতে জলই জীবন, জলই মুসকিল আসান। এদিকে এসি ট্রেনের (Train) বাথরুমে (Bathroom) সেই জলই অধরা ছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে এদিন হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। যদিও তদন্তের পর রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের অভিযোগ পুরোটা সত্যি নয়। 


ঠিক কী হয়েছে এদিন? 


ডাউন রামপুরহাট হাওড়া এক্সপ্রেসের (DN Rampurhat Howarh Express) এসি কোচে ঝামেলার সূত্রপাত। আজ রাত সোয়া আটটা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনের ৭ নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকলে যাত্রীরা ক্ষোভ ফেটে পড়েন। তাদের অভিযোগ রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেনটি ছাড়ার পর সি ওয়ান এসি কোচের চারটি টয়লেটেই কোন জল ছিল না। এর ফলে চরম সমস্যায় পড়েন ওই কোচের যাত্রীরা। 


আরও পড়ুন, ফের চিটফান্ডের পর্দাফাঁস শহরে, প্রতারিত কয়েক হাজার মানুষ 


অভিযোগ রেলের কাছেও


এরপর যাত্রীরা মেইল করে অভিযোগ দায়ের করে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর রেলের টিটিকে যাত্রীরা জানালে তিনি বলেন, জল ভরতে ভুলে গেছে, তাই এই সমস্যা, এমনটাই অভিযোগ যাত্রীদের। যাত্রীদের তরফে বলা হয়েছে, "টিটি এবং অ্যাটেন্ডেন্টরা বসে বসে ফেসবুক করছিলেন। পরে জানান গেল রামপুরহাট থেকে জল তুলতেই ভুলে গেছেন তাঁরা। বর্ধমানের পর কিছুটা জল পেলেও তারপর ফের একই সমস্যা। আমরা টিকিট ছাড়া তো কেউ আসেনি। বরং এসিতে চারগুণ টিকিটের পয়সা দিয়ে এসেছি।" 


রেলের তরফে কী জানান হয়েছে                           


যাত্রীরা জানিয়েছেন যে তাঁরা ইতিমধ্যেই আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর রেলের তরফে প্রাথমিকভাবে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। পরে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন যে, যাত্রীদের অভিযোগ সবটা ঠিক নয়। রামপুরহাট থেকে জল ছিল না এটা মিথ্যে অভিযোগ। বর্ধমানের পর থেকে ২৫ মিনিট জল ছিল না। পাইপলাইনে কিছু গণ্ডগোলের কারণে।" যদিও পরে জল এসে গেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।