কৌশিক গাঁতাইত, রানিগঞ্জ: সানি মিত্র। ঘরের ছেলে এখন ইসরোর বিজ্ঞানী। কিছুদিন আগেই চাঁদ-মিশনের সাফল্যে আনন্দে ভেসেছিল পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ। এবার ইসরোর এই বিজ্ঞানী রয়েছেন আদিত্য L-1 মিশনেও।
ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন প্রযুক্তিবিদ সানি। সারা দেশ যে মিশনগুলির দিকে তাকিয়ে, তার শরিক এখন ঘরের ছেলে। তাঁর এমন কৃতিত্বে উদ্বেল রানিগঞ্জ। মুন মিশনের পর এবার ইসরো-র সান মিশনের টিমেও সামিল রানিগঞ্জের সানি মিত্র। চন্দ্রযান ৩-এর মতো আদিত্য L-1 অভিযানেও জুড়ে রয়েছেন ইসরো-র এই ইঞ্জিনিয়ার।
কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে রওনা দেবে ভারতের সৌরযান Aditya-L1। ইসরো জানিয়েছে, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট L1-এ (Lagrange point 1 ) অবস্থান করবে ভারতের সৌরযান। পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই যান। আগেই ISROর চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানান, মিশনটি সঠিক ব্যাসার্ধে পৌঁছতে ১২৫ দিন সময় নেবে। এই অভিযান সফল হলে সৌরমণ্ডলের মধ্যমণি সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে। সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের যে আবরণ, আপাতত সেটির উপরই নজরদারি চালবে।
আরও পড়ুন :
সূর্যের ঘরে উঁকি দিতে রওনা সৌরযান Aditya-L1 র, কাউন্টডাউন শুরু, জানাল ইসরো
রানিগঞ্জের সানি রয়েছেন সান মিশনের 'বিকাশ ইঞ্জিন' বিভাগে। চন্দ্রযান -৩ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘বিকাশ ইঞ্জিন’ তৈরির সিস্টেম ডিজ়াইন দলের সদস্য ছিলেন এই সানি। সানির পড়াশোনা দুর্গাপুরের ইংরেজি মাধ্যমের বেসরকারি একটি স্কুলে। সেখান থেকে থেকে দশম শ্রেণি ও অন্য একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে ক্লাস টুয়েলভ পাশ করেন। তার পরে আইআইটি খড়গপুর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। তারপর ২০১৮-য় ইসরোয় যোগ দেন বাংলার এই কৃতি ছাত্র।
গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ড করেছে বিক্রম। এখন চাঁদের বুকে দিব্য কাজ করছে রোভার প্রজ্ঞান। এরই মধ্যে ইসরোর জানিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর মধ্যে কেঁপে ওঠে চাঁদের মাটি। এক্স হ্যান্ডলে ছবি ও গ্রাফ প্রকাশ করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। গত ২৬ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে একটি কম্পনের আভাস মিলেছে। ল্যান্ডারের ভূমিকম্প শনাক্তকারী পেলোড ইন্সট্রুমেন্টস ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি বা ইলসা এই কম্পন শনাক্ত করেছে।
এখন Aditya-L1 সূর্যের উপর নজর রেখে কী তথ্য দেয় ইসরোকে অপেক্ষা থাকবে তারই।