কলকাতা: দোরগড়ায় লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024)। রেশন দুর্নীতি মামলায় হঠাৎ তৎপর কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ২০১৯-এর ১ জানুয়ারি থেকে কত অভিযোগ জমা পড়েছে? অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা? কোন ধারায় মামলা? কলকাতা পুলিশের সব ডেপুটি কমিশনারের কাছে জানতে চাইল লালবাজার (Lal Bazar)। আজকেই লালবাজারে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে বিশেষ করে গতবছরের শেষ থেকে রেশন দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এমনিতেই একের পর এক মামলায় জেরবার শাসকদল। তার উপর রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই তা বেগ পায়। এদিকে শুধু এই শাসকদলের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারই নয়, বহুদিন ধরে চলে আসা একের পর এক অভিযোগের পাহাড় জমা পড়েছিল জেলায় জেলায়।
এদিকে নতুন বছরে পা দিতেই যখনই সন্দেশখালি যোগ আসে। আর তার পরেই কেন্দ্রীয়বাহিনীর উপর হামলার পর গোটা ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। এক দুর্নীতি শেকড় খুঁড়তে গিয়ে প্রকাশ্যে আসে আরও এক অপরাধের পাহাড়। রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কি ঘুরপথে মাছের ব্য়বসায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল? মাছ আমদানি-রফতানির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা কি বিদেশে পাচার করা হয়েছে? এমনটাই অনুমান করছে ED। তাই এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে সন্দেশখালি এলাকার মাছের ভেড়ি। মাছ ব্যবসার সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগসূত্র খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি সন্দেশখালিতেও হানা দিয়েছিল ED।
রামপুর, ধামাখালিতে শুরু হয়েছিল অভিযান। ধামাখালির আরশাদ মিঞা বাজারের মালিক ও শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মাছ ব্যবসায়ী রিন্টু মোল্লা এবং শেখ শাহজাহানের আত্মীয় ও নির্মাণ ব্যবসায়ী আইনুল মোল্লা এবং তাঁর ভাই জামালউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে চলেছিল তল্লাশি। আইনুলকে নিয়ে ধামাখালির পঞ্চাশবিঘা গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ED। সূত্রের খবর, ধামাখালিতে আরশাদ মিঞা বাজারের মালিক ও মাছের আড়তদার নজরুল মোল্লা ও রিন্টু মোল্লার ব্যবসা বকলমে নিয়ন্ত্রণ করতেন শেখ শাহজাহান।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর আজ ফের শারীরিক পরীক্ষা, ঘটনার সময় কারা ছিলেন ?..
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)