পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। ব্য়ক্তিগত জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে ফের একে অপরকে আক্রমণ শানালেন বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায় (Baishaki Banerjee) ও রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)।


বিচ্ছেদে বাগযুদ্ধ


শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ঘিরে আদালত চত্বর সরগরম ! সম্প্রতি আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায় বারবার অভিযোগ তোলেন, আদালত চত্বরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার আলিপুর কোর্ট চত্বরে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। এজলাস পর্যন্ত শোভন-বৈশাখীকে ঘিরে ছিল পুলিশি ঘেরাটোপ।


কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আগেরদিন আপনারা জানেন অনেক লোক আসে। অঙ্গভঙ্গি করছিল। চাপ তৈরি করছিল। বৈশাখীকে সাক্ষ্য় দিতে দিচ্ছিল না। ডেথ ম্য়ারেজ। তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা'। পাল্টা বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'মিথ্য়ে তথ্য দিচ্ছে। সরকারের খরচা বাড়াচ্ছে। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে। শোভন তো কোনও পদেই নেই। ওকে নিরাপত্তা কেন?'


ব্য়ক্তিগত জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে আক্রমণ


এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না রত্না চট্টোপাধ্য়ায়। যা নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ওঁর শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। যার পাল্টা রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমার তো শুভবুদ্ধি আছে। নাহলে এতদিন কিছু বলিনি। আমার ঘরে তো কোনও পুরুষ আসে না।দাস হব না চ্য়াটার্জী পরের কথা। আমি এখনও শোভনের স্ত্রী।


আগের দিনই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আগের দিন বলেছিল আদালত ঘেরাও করে দেবে। একজন জনপ্রতিনিধি। গুণ্ডাবাহিনী নিয়ে আসে। পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য়। যার পাল্টা রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভেবে ভাল লাগছে ভয় পেয়েছে। এত সহজে মুক্তি দেব না। আগের দিনও ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়ে রত্না বলেছিলেন, ' সিঁদুর কেন পরে বৈশাখী? ওনার তো ডিভোর্স হয়েছে, উনি নিজের সন্তানকে শোভনের সন্তান বলে চালাচ্ছেন কেন, ও তো বৈশাখী আর মনোজিত মণ্ডলের সন্তান। নোংরা মহিলা উনি।  নাচ গান সবই তো করছেন, সারা বাংলার লোক কেউ ভালো বলে না ওঁকে। ' 


২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর বিবাদ বিচ্ছেদের মামলা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ৫ বছরের বেশি সময় ধরে সেই মামলা চলছে। মঙ্গল ও বুধ, দুদিনই এই মামলার সাক্ষ্য়গ্রহণ চলবে। 


আরও পড়ুন- চারিদিকে শুধু লাশের সারি, তুরস্ক যেন মৃত্যুনগরী, ২ হাজার ছাড়াল মৃতের সংখ্যা