কলকাতা: তৃণমূলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তনে স্বাগত জানিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দ-কে বিশেষ সাক্ষাৎকারে একাধিক ইস্যুতে এদিন মুখ খুললেন তিনি। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, বললেন, 'আমার ধমনী, শিরায়..'

Continues below advertisement

এদিন তিনি  এবিপি আনন্দ-কে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিন সপ্তাহ আগে NKDA-র চেয়ারম্যান করেছেন মমতাদি। এবং তখন থেকেই কথা ছিল যে, উনি জয়েন করবেন। সময়ের অপেক্ষা ছিল। আজকে উনি জয়েন করেছেন। আমি অবশ্যই স্বাগত জানাব। ধমনি-রক্ততে যদি তৃণমূলই থাকে, তাহলে আমার কোনওদিনও মনে হবে না, আমি আরেক দল, যেটা একদম নৈতিকতার দিক থেকে তৃণমূলের সঙ্গে একদমই মেলে না, বিজেপিতে..। উনি যদি কংগ্রেসে আবার ফিরে যেতে আলাদা কথা ছিল। উনি বিজেপিতে চলে গেলেন। দল যদি মনে করে যে, শোভনকে আবার বেহালা পূর্ব ফিরিয়ে দেব, বা রত্নাকে দেব না, দলের সিদ্ধান্ত এখানে আমার কিছু বলারই নেই। যতদিন সুস্থ থাকবেন কাজ করুন, আর কখনও, মমতাদির সঙ্গে রাগ হয়েছে, মনোমালিন্য হয়েছে, তাই ছেড়ে দিলাম, চলে গেলাম, কাজ করব না, ঘরে বসে গেলাম, এটা করবেন না। কাজ করুন, সুস্থ থাকুন।'

জল্পনার অবসান।অবশেষে তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়।অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বৈঠক!দার্জিলিংয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ!তারপর NKDA-র চেয়ারম্য়ান পদ পাওয়া! গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক ঘটনা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছিল শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের তৃণমূলে ফেরা কার্য়ত সময়ের অপেক্ষা! শেষ অবধি তাই হল!তৃণমূলে ঘরওয়াপসি হল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। ফের কাননে ফুটল ঘাসফুল।

মুখ্যমন্ত্রীর বরাবরের ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়! ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য! কলকাতার মেয়রের পাশাপাশি রাজ্য় সরকারের একাধিক দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ছিলেন ফিশারি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানও।কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে, বিজেপি প্রায় তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। শুরু হয় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক! সেই সময় বিজেপিতে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ও। মেয়র-মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে, দিল্লিতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে।

দিনটা ছিল ২০১৯-এর ১৪ অগাস্ট! দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সদর দফতরে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোদি-শাহের দলে নাম লেখান শোভন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মোদি-অমিত শাহের প্রশংসা যেমন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের গলায় শোনা গেছিল, তেমনই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সম্পর্কে কোনও কটূ মন্তব্য় না করে, ভবিষ্য়তে তৃণমূলে ফেরার রাস্তাও কার্যত খোলা রেখেছিলেন তিনি।  ২০২০ সালে বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক করা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সহ আহ্বায়ক হন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচারও করেন শোভন।