কলকাতা: বাংলার নববর্ষেই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের ম্যারাথন অভিযান (CBI Raid)। বড়ঞায় ৩০ ঘণ্টা ধরে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের পুকুর লাগোয়া জঙ্গলে নিয়োগ দুর্নীতির নথি ভর্তি ৫টি ব্যাগের হদিশ মিলেছে। নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে এদিন ফের বিস্ফোরক দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু এদিন বলেন, 'অন্তত ১০০ তৃণমূল বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট।' আর এরপরেই পাল্টা আক্রমণ কারামন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri)। তিনি এদিন বলেন,  'শুভেন্দু নিজেই দুর্নীতিগ্রস্থ, তদন্ত হোক।' 


দোরগড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন কারণে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ কে লক্ষ্য বানিয়েই বাংলায় গত কয়েকদিনে একাধিক ইস্যুতে শাসকদল এবং বিজেপির শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা একে অপরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। কখনও তা নিয়োগ দুর্নীতি, কখনও আবার তা আবাস প্রকল্প। কখনও আবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে ইস্যুও উঠে আসছে। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে ফের নিয়োগ দুর্নীতিকে হাতিয়ার বানিয়ে তৃণমূল বিধায়কদের আক্রমণ করেছেন।


মূলত বাংলার নববর্ষেই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের ম্যারাথন অভিযানেই (CBI Raid) ফের ওঠে প্রসঙ্গ। বড়ঞায় ৩০ ঘণ্টা ধরে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের পুকুর লাগোয়া জঙ্গলে নিয়োগ দুর্নীতির নথি ভর্তি ৫টি ব্যাগের হদিশ মিলেছে। আর এর পরেই শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।   তিনি এদিন বলেন,  'অন্তত ১০০ তৃণমূল বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট। ১০০ জন বিধায়ক চাকরিপ্রতি ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নামতে পারে। অন্তত ১০০জন তৃণমূল বিধায়ক এজেন্ট, কয়েকজন ২০১৬-তে টিকিট পাননি। চাকরিপ্রতি ৮-১০ লক্ষ টাকা পাঠাতে হয়েছে কলকাতায়।' আর স্বাভাবিকভাবেই এই কথার পরেই গর্জে উঠেছেন শাসকদলের হেভিওয়েটরা। শুভেন্দুর এই বিস্ফোরক দাবির পর তৃণমূলের আরেক হেভিওয়েট শান্তনু সেনও বিরোধী দলনেতার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 


আরও পড়ুন, CBI তল্লাশির পরই নতুন দল ঘোষণা বিভাস অধিকারীর


প্রসঙ্গত, রাজ্যের গত কয়েকমাসে ইতিমধ্য়েই শ্রীঘরে গিয়েছেন শাসকদলের হেভিওয়েটরা। জিজ্ঞাসাবাদে নাম উঠে এসেছে একাধিক নতুন চরিত্রের। 'মাথাকে ধরা হোক', ধরা হোক যখন দাবি তুলছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নের্তৃত্ব, ঠিক তখনই বামআমলে নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনেছেন তৃণমূল নেতারা। এদিকে সম্প্রতি বামেদের বর্ষীয়ান নেতা পাল্টা তৃণমূল-সহ বিজেপিকে একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির ইস্য়ুতে তোপ দেগেছেন। যদিও ময়নার সভায় সম্প্রতি আরও একধাপ এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন,'দরজা খুললে টাকার পাহাড়, গোটা শিক্ষা দফতর জেলে।'