রাজীব চৌধুরী ও প্রকাশ সিনহা : সাতসকালে প্রথমে তাঁর বাড়ি তারপর ডিএলএড ও বিএড কলেজেও হানা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হানা ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের (Jafikul Islam) বিভিন্ন ডেরায়। যেখানে তল্লাশির মাঝেই তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে রাশি রাশি অর্থ। সিবিআই সূত্রে পাওয়া শেষ খবর, টাকার অঙ্কটা ২৫ লক্ষের বেশি। এখনও জারি রয়েছে গোনা। এর মাঝেই সিবিআই তল্লাশি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের নেতা।


ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক ফোনে এবিপি আনন্দকে জানান, 'আমি বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছি। বাড়ি স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছেন তাঁদের কাজে, বাড়ির লোককে বলেছি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে। তবে যে ব্য়াপারে তদন্ত করতে গেছে, নিয়োগ দুর্নীতি, কোনও দিনও ১ পারসেন্টও সংযোগ ছিল না। যোগাযোগ রাখিনি। আজও নেই। আগামীতেও থাকার প্রশ্ন নেই।'


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-র ঘনিষ্ঠ তিনি। যে প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সংযোজন, 'বেসরকারি কলেজ চালিয়েছি, সরকারি অনুমোদন নিয়েই। কেন্দ্র ও রাজ্য় সরকারের যৌথ অনুমোদনে চলেছে। কলেজ চালানোর স্বার্থে পর্যদের সভাপতির সঙ্গে পরিচয়। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে পয়েন্ট ওয়ান পারসেন্ট যোগাযোগ ছিল না, আজও নেই।'


সূত্রের খবর, প্রথমেই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সেখানে না থাকার খবর জানতে পারে সিবিআই। সূত্রের খবর, তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে নথিপত্র দেখতে চান আধিকারিকরা। এরপর, সিবিআইয়ের একটা টিম চলে যায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, তৃণমূল বিধায়কেরই এই সুবিশাল এডুকেশন হাবে। যেখানে কিনা রয়েছে ৩ টে বিএড কলেজ, ৪ টে ডিএড কলেজ, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এছাড়া, ফার্মাসি , পলিটেকনিক কলেজ।


এদিকে, তৃণমূলের এক মন্ত্রী দুই কাউন্সিলর সহ একাধিক জায়গায় সিবিআইয়ের হানা প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিশানা করেছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, জাফিকুলের টাকা বৈধ না অবৈধ, সেই উপসংহারে আসার সময় হয়নি। তিনি ব্য়বসার সঙ্গে যুক্ত, বা যেভাবে হোক, তিনি ডিক্লেয়ার করছেন কিনা, কেন টাকাটা তঁর কাছে আছে, শুধু তাঁর কাছে টাকা আছে রটনা রটিয়ে দেওয়া, ম্য়ালাইন করার স্ক্রিপ্ট, অভিষেক এ ব্য়াপারে কঠিনভাবে নিজেদের নীতি জানিয়েছেন। দুর্নীতির ব্য়াপারে জিরো টলারেন্স। যদি দেখো হয় টাকাটা অবৈধ, হিসেব নেই, সেক্ষেত্রে পার্টু তখন ভাববে। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে চোখে দেখে যাচ্ছে, বিজেপির রাজনৈতিক নেতারা পাগলের মতো আচরণ করবে। বিজেপির গণসংগঠন ডাইভার্ট করতে নেমে পড়েছে। তীব্র প্রতিবাদ করছি।


আরও পড়ুন- নৌকায় নদী পারের সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, গাড়ি-বন্দি অবস্থায় ডুবে মৃত্যু ২ জনের