কলকাতা: ফের জেল হেফাজতে কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের জেল হেফাজতে কুন্তল ঘোষ। জেল হেফাজতে যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ।
ফের জেল হেফাজত: ১৪ দিন জেল হেফাজত শেষে আজ ফের কুন্তল ঘোষকে আদালতে পেশ করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ফের কুন্তল ঘোষকে আদালতে পেশ। '১০ এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে ২০০ প্রার্থীর থেকে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। সেই টাকা গেছিল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। বিএড, ডিল এড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে পার্থ-মানিকের প্রভাব কাজে লাগানো হয়েছে।' আদালতে দাবি ইডি-র। জেলে গিয়ে জেরার আবেদন। ১৪ দিনে মামলার কী অগ্রগতি জানতে চান বিচারক। তদন্তকারী অফিসার বিচারকের কাছে গিয়ে কিছু নথি দেখান। কুন্তলের আইনজীবী আজ জামিনের আবেদন করেন।
মুখোমুখি গোপাল ও তাপস: চলতি সপ্তাহে মুখোমুখি হন গোপাল দলপতি ও তাপস মণ্ডল। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ ইডি-র দফতরে এসেছিলেন তাঁরা। ১৩ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারথন জিজ্ঞাসাবাদ। রাত ১টা ২০ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হন দু’জনেই। ইডি সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার, আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়েও গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ইডি সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কুন্তল ও গোপাল। কুন্তল ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেও, গোপাল তা অস্বীকার করেন। উল্টে, জানতে চান কার সামনে টাকা দিয়েছেন কুন্তল? তার কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না? জিজ্ঞাসাবাদের পর গোপাল দাবি করেন, তাপস মণ্ডলের সূত্রে যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হলেও, কুন্তলের ১৫ কোটি টাকার অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেন গোপাল দলপতি। ইডি-র তরফে গোপাল দলপতিকে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি ও পুরনো মামলার সমস্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: আজ হচ্ছে না অনুব্রত মামলার শুনানি