কলকাতা: পুর-দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারকে রিভিউ পিটিশন দাখিলের নির্দেশ। রিভিউ পিটিশন দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ। ২১ এপ্রিল পুর-দুর্নীতি মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে সিবিআই, সেই তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের।


পুর-দুর্নীতি তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, এবার ওই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তে পুর দফতর। 'অভিযুক্ত সংস্থা কোথা থেকে এল, কারা সুপারিশ করেছিল?' কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঢুকল সংস্থা? প্রশ্ন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।


নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমেই কেলেঙ্কারি। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল। অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজেনের মাধ্যমেই ওএমআর শিটে কারচুপি। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুরসভাকেও চাকরি বিক্রির অভিযোগ ইডির।


আগে কী নির্দেশ:
কিছুদিন আগেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল 'পুর-নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগেও তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, চাইলে এফআইআর দায়ের করতে পারবে'। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এফআইআর দায়ের করে দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। অয়ন শীল ও অন্যান্যদের নামে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিনকয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে পারবে সিবিআই।  প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার করেছে ইডি তার সূত্র ধরে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই (CBI)। 


পুরসভায় নিয়োগেও যে দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিল, সেই তথ্য প্রথম উঠে আসে, প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে ইডি তল্লাশিতে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) সূত্রে খবর, অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হয় অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। অফিসের ড্রয়ার থেকে উদ্ধার হয় ৪০০টি OMR শিট। যার মধ্যে অনেকগুলি OMR শিট ফাঁকা ছিল। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করার পর, অয়ন শীলের অফিসকে ডেটা মাইন বা তথ্যের খনি বলেও উল্লেখ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই প্রেক্ষাপটে সিবিআইকে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তের অনুমতি দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন, অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার করেছে ED, সেই সূত্র ধরে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। ২৮শে এপ্রিল তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে। 


আরও পড়ুন: শরীরচর্চার পরেই অ্যাসিডিটি হচ্ছে? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?