প্রকাশ সিনহা , কলকাতা : একইসঙ্গে রাজ্য়ে ইডি ( ED) ও সিবিআইয়ের ( CBI )  শীর্ষ কর্তারা। সূত্রের খবর, কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন সিবিআইয়ের অ্য়াডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। শহরে এসেছেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্রও। 



নিয়োগ দুর্নীতির ( Recruitment Scam )  তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন দু'জনে, খবর সূত্রের ।  SSC দুর্নীতির তদন্ত কোন পর্যায়ে, তা নিয়ে ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র। যে ৯ জনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে, তাঁদের জেরায় কাদের নাম উঠে এসেছে, তা নিয়ে কথা বলতে পারেন সঞ্জয় মিশ্র, খবর সূত্রের। 

আরও পড়ুন :


'সব জানে হৈমন্তী', টাকা নিয়ে দাবি কুন্তলের, কোথায় তিনি, স্ত্রীকে নিয়ে কী বলেন গোপাল?



নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আদালতের প্রশ্ন 

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একাধিকবার ইডি ও সিবিআইয় প্রশ্নের মুখে পড়ে হাইকোর্টের। কখনও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় , কখনও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সমালেচনা মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা । অতি সম্প্রতি চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারির পর  কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে বাগদার রঞ্জনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ ওঠে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'বাগদার রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে আর কি হবে? কিছুই হবে না।'  কিছুদিন আগেই আদালত সিবিআইকে প্রশ্ন করে , নিয়োগ দুর্নীতিতে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? বারবার আদালতকে বলে দিতে হচ্ছে CBI এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে কাজ করবে। নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে  অসন্তোষ প্রকাশ করে এই কথা বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতি কার্যত সতর্ক করে দিয়ে নির্দেশ দেন, তাড়াতাড়ি তদন্ত শেষ করুন। মামলা ঝুলে থাকলে, SSC নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না। শূন্যপদ থেকে যাবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ও এজেন্সির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করেন।                            

এর আগে জানুয়ারি মাসে, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে  প্রশ্নের মুখে পড়ে CBI. 
মানিক ভট্টাচার্যকে কেন গ্রেফতার করতে পারেননি? কেন দেরি হয়েছিল? ভর্ৎসনা করে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আরেক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অসন্তোষ প্রকাশ করে, মঙ্গলবার সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে সিট থেকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়।