বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা : রামনবমীর মিছিল (Ramnavami Rally) ঘিরে অশান্তি, রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শিবপুর, ডালখোলা, রিষড়ায় দফায় দফায় অশান্তি। বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই রিপোর্ট তলব। পুলিশ কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি তা জানতে চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, এমনই খবর সূত্রের। এ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে। হিংসার জন্য তিনি মূলত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। তার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।


রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রবিবার অশান্ত হয় হুগলির রিষড়া। আর, সোমবার বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় কোন্নগরে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়।


গতকাল কোন্নগরের পর আজ দিল্লি রোড। রিষড়া যাওয়ার পথে ফের আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারকে। শ্রীরামপুরে ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তর গাড়ি। পুলিশের দাবি, সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই গাড়ি এগোতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।


৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর-


এদিকে শিবপুর-রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি করেছেন শুভেন্দু  অধিকারী। রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক মাসের জন্য শিবপুর-রিষড়া থানাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ছাড়ার দাবি জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, 'রাজ্যের কাছে রিপোর্ট নয়, কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করুন রাজ্যপাল। রাষ্ট্রবাদীদের বাঁচাতে কিছু করে দেখান রাজ্যপাল, তাহলেই বোঝা যাবে।' গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তুলনা টেনে আনন্দ বোসকে আক্রমণ। শুভেন্দু বলেন, 'এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালের কাছ থেকে পূর্বসুরীদের ভূমিকা দেখতে পাইনি। রাজ্যের রিপোর্ট না চেয়ে, সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রের পদক্ষেপ চান। শিবপুর-রিষড়া থানার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তোলার সুপারিশ করুন। তাহলেই বুঝব, শুধু বিবৃতি নয়, কিছু করে দেখাতে চাইছেন সিভি আনন্দ বোস।' রিষড়া থেকে রাজ্যপাল ফিরতেই চড়া সুরে আক্রমণে বিরোধী দলনেতার। 


রিষড়া স্টেশনে (Rishra Station) ট্রেন থেকে নামতেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও (Locket Chatterjee) আটকায় পুলিশ। তাঁকে এগোতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। কিন্তু, আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার দাবিতে অনড় থাকেন লকেট। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ। পুলিশের বাধার মুখে রিষড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ধর্নায় বসে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন ; মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছি: সুকান্ত মজুমদার