ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা :  বহুমূল্যের লাল চন্দনকাঠ বিদেশে পাচারের ছক বানচাল করল পুলিশ (Police)। কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport) থেকে হাতেনাতে তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করল NSCBIA থানা। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি হয়ে হংকংয়ে লাল চন্দনকাঠ পাচারের পরিকল্পনা ছিল। ৭টি ব্য়াগ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০০ কেজি লাল চন্দনকাঠ। ধৃত তিনজনই খিদিরপুরের বাসিন্দা।


পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন লাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় ব্যাগগুলিতে কাঠ দেখতে পান বিমানবন্দরের কর্মীরা। চন্দনকাঠ (Sandelwood) পাচারের রুট মূলত দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্য়। এ রাজ্যে উত্তরবঙ্গ দিয়েই মূলত কাঠ পাচার হয়। লাল চন্দনকাঠ এভাবে কলকাতা দিয়ে পাচারের ছক প্রায় নজিরবিহীন বলেই মনে করছে পুলিশ। নেপথ্যে বড়সড় চক্র বলে অনুমান।


কিছুদিন আগে হুগলির ডানকুনি থেকে আটক করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণে চন্দন কাঠ। লরিতে প্রায় ৬ টন চন্দন কাঠ পাচার হচ্ছিল সেবার। লরিটিতে আমের বস্তা রাখা ছিল। সেই বস্তা সরাতেই বেরিয়ে আসে চন্দন কাঠ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছিল, লরিটি কর্ণাটক থেকে আসছিল। ডানকুনি দিল্লি রোডের পাশে একটি গোডাউনে লরি থেকে চন্দন কাঠ নামানো হচ্ছিল। ডানকুনি থানা খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়েছিল।


এদিকে, গত বছর পুরুলিয়ার (Purulia) বাঘমুণ্ডিতে বন দফতরের কার্যালয় চত্বর থেকে চুরি হয়ে যায় চন্দন গাছ। প্রতিবাদে ফরেস্ট বিট অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা (Locals Agitation)। পড়ে ছিল শুধু গোড়া। রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছিল লক্ষাধিক টাকার সুগন্ধী চন্দন গাছ। বনদফতরের অফিস-চত্বর থেকেই গোটা চন্দন গাছ মুড়িয়ে কেটে নিয়ে যায় কেউ বা কারা ! পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে বনদফতরের নাকের ডগায় গাছ চুরির অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম হয়েছিল।


                                                                                                              


আরও পড়ুন- হঠাৎ ব্যথা, তারপর নষ্ট হয়ে গেল চোখ ! ডেঙ্গি ঘিরে নতুন উদ্বেগ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial