হিন্দোল দে, ট্যাংরা: ১৪ দিন ধরে খোঁজ মিলছে না ট্যাংরার এক বাসিন্দার। খুন করে দেহ লোপাট করা হয়েছে, অভিযোগ পরিবারের। গতকাল দোষীদের শাস্তির দাবিতে ট্যাংরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করেছে। ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। 


খুন করে দেহ লোপাটের ভুরিভুরি ঘটনা হয়েছে কলকাতা-সহ সারা দেশে। তবে এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক আছে কিনা, এবিষয়ে কিছু প্রকাশ্যে আসেনি। যদিও খুন করে দেহ লোপাটের ঘটনা সম্প্রতি কিছু দিন আগে দিল্লিতেও হয়েছে। অন্য এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন প্রেমিক। সেই খবর জানতে পেরে প্রতিবাদ করতেই প্রেমিকের হাতে খুন হতে হয় বছর ২৫-এর তরুণীকে। ঠান্ডা মাথায় ডেটা কেবল পেঁচিয়ে নিজের প্রেমিকাকে খুনের পর তাঁর দেহ ধাবার ফ্রিজারে লুকিয়ে রাখে অভিযুক্ত । কয়েকদিন পর শেষমেশ উদ্ধার হয় মৃতার দেহ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজ্যের ক্ষেত্রে, খুন করে বাড়ির জমির মধ্যে লুকিয়ে রাখার ঘটনা এর আগে মালদা জেলাতেও দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। বহু মাস পরেও, সেই ঘটনা চাপা রেখে বাড়ির ছেলে কাউকে বুঝতে দেয়নি। পরে আচমকাই সন্দেহ হওয়ার বেরিয়ে আসে হাড় হিম করা তথ্য। যদিও ট্যাংরার ক্ষেত্রে এখনও তদন্ত চলছে। কী কারণে এই ভয়াবহ খুন, জানতে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


আরও পড়ুন, ১০০ দিনের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল


 সম্প্রতি হরিদেবপুরে একটি নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, মাসছয়েক ধরে হরিদেবপুরে ভাড়া থাকতেন অরুণাভ। তাঁর সঙ্গে ডালিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অরুণাভর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর অনুপস্থিতিতে সোমবার অরুণাভর ভাড়াবাড়িতে যান ডালিয়া। পুলিশের দাবি, সেখানে টাকা পয়সা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তরুণীর। তার জেরে প্রেমিকার ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অরুণাভ। এরপর দেহ সরিয়ে ফেলতে বন্ধু অর্জুনকে ফোন করে ডাকেন। দু’জনে মিলে দেহ ফেলে আসেন অরুণাভর বাড়ি থেকে ২০-২৫ মিটার দূরে। এরপর অরুণাভ সোনারপুরে ও অর্জুন দত্তপুকুরে গা ঢাকা দেন। কিন্তু ডালিয়ার শেয়ার করা লাইভ লোকেশনই ধরিয়ে দেয় অরুণাভকে। এই খুনের ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২, খুন, ২০১ তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুন হন তরুণী, দাবি পুলিশের।