সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur Gold Shop Dacoity) গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া এলাকায়। এর মধ্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিন রাজ্যের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। আতঙ্কের চোরাস্রোত এলাকার বাকি ব্যবসায়ীদের মধ্যে।


যা জানা গেল...
গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ সূত্রে খবর, পাঞ্জিপাড়া বাজারের এক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে  ভিন রাজ্যের যে দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রেরও হদিস মেলে। বাকিদেরও খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সোনার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতিদের চিহ্নিত করে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ধৃত ২ জনকে জেরা করে বাকি দুষ্কৃতিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জানান, তাঁর দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গয়না-সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এই ধরনের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহলের সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 


বার বার ডাকাতি...
এর আগেও রাজ্যের নানা প্রান্তে একাধিক ডাকাতির ঘটনা খবরে শিরোনামে এসেছে। এর মধ্যে, গত বছর, একইদিনে রাজ্যের দুটি জেলা নদিয়া ও পুরুলিয়ায় ২টি সোনার দোকানে পরপর ডাকাতির ঘটনা হয়তো অনেকেরই স্মরণে থাকবে। ওই ঘটনার সিসিটিভি-র সেই ভয়াবহ ফুটেজ প্রকাশ্যেও এসেছিল। তা ছাড়া, ব্যারাকপুরের শ্যুটআউটের ঘটনাও অনেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল। গত ২৪ মে ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে ভরা বাজারে সোনার দোকানে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। ডাকাতিতে বাধা দিতে গেলে সোনার দোকানের মালিককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি সোনার দোকানে ঢুকেও মালিককে গুলি করার ঘটনার সাক্ষী এ রাজ্য। তালিকায় মালদার একটি ঘটনাও থাকবে। ওই ঘটনায় ডাকাতদের বোমায় নিহত হয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। চাঁচলের মালতিপুরে ভরসন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দোকানের মালিক। দোকানে ডাকাতির পরে হয়েছিল বোমাবাজিও। তাতেই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর। সোনার দোকানের মালিকের পায়ে গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সন্ধে ৬টা নাগাদ বাইকে করে ভরা বাজারে সোনার দোকানে ৬ দুষ্কৃতী চড়াও হয়েছিল সেদিন।
প্রশ্ন হল, একের পর এক এই ধরনের ঘটনা রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘটে গেলেও পুলিশের কি টনক নড়ছে না? উত্তরের অপেক্ষা, সঙ্গে ভয়ের চোরাস্রোত-- এই নিয়েই দিন কাটছে স্বর্ণব্যবসায়ীদের।


আরও পড়ুন:'উনি কী ভাবে লুকিয়েছিলেন, সেই ট্রেনিংই দিতে যান', ডিজি-র মাঝরাতের সফর নিয়ে মত দিলীপের