ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যালকাণ্ডের পর বারবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে অভীক দের নাম। চাপের মুখে তাঁকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্যভবন। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক দে-র বিরুদ্ধে মিলেছে ভুরি ভুরি অভিযোগের প্রমাণ। 


আর জি কর কাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি আরও যে দুই চিকিৎসকের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের অন্যতম অভীক দে। এসএসকেএম এর  পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি অভীক সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিশেষ পরিচিত মেডিক্যাল সার্কিটে। উত্তরবঙ্গ লবির সক্রিয় সদস্য় বলে পরিচিত অভীক।  আর জি কর কাণ্ডের পর অনেকেই সাহস সঞ্চয় করে অভীকের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। জানা গিয়েছে , থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত অভীকের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে ৩২টি অভিযোগ । 


অভিযোগ, পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে SSKM-এ  জয়েনিংয়েও সময়ও অভীক সব নিয়ম মানেননি।  গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করার জন্যই বিশেষ কোটায় তাঁর নিয়োগ। অথচ , গ্রামে কোনওকালেই কাজ করেননি অভীক। কাজ না করেই বিশেষ কোটায় SSKM-এ পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এছাড়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার কাজকর্মটুকুও করেননি অভীক।


এছাড়া থ্রেট কালচারে তাঁর নাম উঠে এসেছে একাধিক বার। আরজি কর কাণ্ডের পর অভীকের বিরুদ্ধে মুখ খোলা শুরু করেন পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকে।  বেআইনি ভাবে হস্টেলে গিয়ে নাকি জুনিয়রদের ভয় দেখাতেন অভীক। তার প্রমাণ মিলেছে বলে খবর। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজেই এই থ্রেট কালচার চালাতেন অভিযুক্ত অভীক। এতটাই ছিল তার প্রতিপত্তি ! 


এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ পরীক্ষা ও নম্বর গরমিলেও হস্তক্ষেপ করেছেন সন্দীপ ঘোষ-ঘনিষ্ঠ অভীক দে। আর জি কর কাণ্ডের পর ১১ অগাস্ট বর্ধমান মেডিক্যালে গভীর রাতে জুনিয়রদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভীক।  অভীক দে-র বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ভবনের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই অভিযোগগুলির উল্লেখ করা হয়েছে।  


গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে একটি চিঠি পাঠান SSKM মেডিক্যালের ডিন অফ স্টুডেন্টস। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ অগাস্ট থেকেই তিনি অনুপস্থিত ।  তাও আবার কোনও অনুমতি না ছাড়াই কাউকে না জানিয়েই লম্বা ছুটিতে চলে যান অভীক। 


আরও পড়ুন :


লক্ষ্মীবারেই তাণ্ডব চালাতে পারে 'দানা', লাল সতর্কতা জারি কলকাতায় ! প্রথম ধাক্কা কোথায়?