বিজেন্দ্র সিংহ, নয়া দিল্লি : আর জি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে ক্রমশ চড়ছে আন্দোলনের সুর। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সুপ্রিমকোর্টে ধর্ষণ-খুন মামলার শুনানি শুরু হয়েছে । শুরুতেই  মুখবন্ধ খামে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।


চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় ১ মাস পার হয়েছে। সোমবারই শীর্ষ আদালতে এই মামলায় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর । রিপোর্টে দাবি, ২৩ জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন আন্দোলনের কারণে। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালত আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন জানায়। তারপরও আন্দোলনে অনড় তাঁরা। চলছে কর্মবিরতি। যদিও চলছে এমার্জেন্সি পরিষেবা। কাজ করছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। তা সত্ত্বেও ২৩ জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন আন্দোলনের কারণে বলে দাবি রাজ্যের রিপোর্টে। 


এ-সময় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, রাজ্য যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটা ফাইল করা হয়নি, তার কপি তাঁরা পাননি। 'রাজ্য আদালতে যেটা দিয়েছে সেটা আমাদেরও দেওয়া হোক, লুকোবার কিছু নেই। এমনিতেই অনেক কিছু লুকানো হয়েছে, অভিযোগ তুষার মেহতার।


এরপরই সিবিআই-এর তদন্তের রিপোর্ট দেখছেন বিচারপতিরা। এর মধ্যেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রেখেছেন, হাসপাতাল থেকে তৎকালীন প্রিন্সিপাল (সন্দীপ ঘোষের) বাড়ির দূরত্ব কত?  সিবিআই জানায়, ১৫ থেকে ২০ মিনিট। 


এরপর মৃতার ডেথ সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখতে শুরু করেন প্রধান বিচারপতি। জেনারেল ডায়েরি ফাইল করার সময় নিয়ে ফের ভিন্ন মত সামনে এল দুই তরফে। দুপুর ১.৪৭ মিনিটে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, আদালতে জানান কপিল সিব্বল। আর তারপর দুপুর ২.৫৫ মিনিটে জেনারেল ডায়েরি ইস্যু হয় বলে জানান তিনি। কিন্তু তুষার মেহতার বক্তব্য অনুসারে সেই সময়টা আলাদা। সার্চ এবং সিজার কখন হয়? রাজ্যকে তখন প্রশ্ন করে আদালত। 'রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১১টার মধ্যে, আগেই ছবি তোলা হয়েছিল'। জানান রাজ্যের আইনজীবী।                                    



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে 


আরও পড়ুন :                         


RG Kar News: 'শুনানি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি না করে ধর্ষণের মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে'