কলকাতা : আর জি কর কাণ্ডে এবার দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। সূত্রের খবর, দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। আর জি কর মেডিক্যালে সরকারি টাকা নয়ছয় করে, নিজেদের পকেটে ভরার অভিযোগে একাধিক গ্রেফতারি হয়েছিল। সূত্রের খবর সিবিআই প্রথম চার্জশিটের সঙ্গে প্রায় দেড় হাজার পাতার নথি জমা করছে। ১১০ জনকে দেখানো হয়েছে সাক্ষী হিসেবে। অর্থাৎ এই মামলার তদন্তে সিবিআই ১১০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের বয়ানও নথিবদ্ধ হয়েছে। এছাড়া তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছিল প্রচুর নথি। সেগুলিও রয়েছে এই দেড় হাজার পাতার নথির মধ্যে।
সিবিআই সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের। এছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে ছাত্রনেতা আশিস পাণ্ডেরও। এছাড়াও রয়েছে আর জি কর মেডিক্যালে সন্দীপ-জমানায় মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরার। এছাড়া চার্জশিটে নাম রয়েছে সন্দীপ ঘোষের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলিরও। এই আফসারেরই একটি হুমকি দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল । তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং দুর্নীতির অভিযোগের যাবতীয় তথ্য রয়েছে চার্জশিটে। খবর সিবিআই সূত্রে।
সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে তারা জানতে পারে, নিজেদের মুনাফার জন্য ৫ জনের র্যাকেট তৈরি হয়েছিল আর জি কর মেডিক্যালে । এই চক্রের মাথা ছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তিনি কাজ করাতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক-নেতা আশিস পাণ্ডেকে দিয়ে। এছাড়া লাভের কড়ি যতটা সম্ভব পকেটস্থ করার জন্য হাসপাতালের দুই মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহ ও সুমন হাজরাকেও কাজে লাগানো হয়। সন্দীপ ঘোষের আমলে কীভাবে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য, ফুলে ফেঁপে উঠেছিল , তা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এদের সাহচর্য নিয়েই টাকা নয়ছয়ের বিরাট জাল বিস্তার করেছিলেন সন্দীপ। খবর সিবিআই সূত্রে। এছাড়াও নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলির নামও রয়েছে চার্জশিটে । যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, আর জি কর মেডিক্যালে এই র্যাকেট যে দুর্নীতি করেছে, তার ফলে ক্ষতি হয়েছে রাজ্য সরকারের।
এর আগে আর জি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রথম চার্জশিটে সঞ্জয় রাইকে অভিযুক্ত হিসাবে দাবি করে সিবিআই। চার্জগঠন হওয়ার পর এখন শুনানি চলছে শিয়ালদা কোর্টে।
আরও পড়ুন :