কলকাতা : সিবিআই তদন্তের মাঝেই হস্টেলের ঘরের তালা ভেঙে তাণ্ডব চালিয়েছে বহিরাগতরা। এবিপি আনন্দে চাঞ্চল্যকর  অভিযোগ করলেন আর জি করের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক। সিবিআই, পুলিশের পাশাপাশি, সিআইএসএফের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, হাসপাতালে সিআইএসএফ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?


চিকিৎসকের নাম সারিফ হাসান। তিনি আর জি কর মেডিক্যালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। টালা থানায় একটি লিখিতভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক, দাবি তাঁর। চিকিৎসকের দাবি,  তাঁকে কিছুদিন থেকে কয়েকজন ভয় দেখাচ্ছেন। তাঁরা এখন আর কলেজের ছাত্র বা ইন্টার্ন নন, পাস করে গিয়েছেন। চিকিৎসকের অভিযোগ, হুমকি-দাতাদের মধ্যে আছেন কিছু অবাঙালি ব্যক্তিও। 'আমাদের বাংলার লোক কীভাবে বিনা চিকিৎসায়  মারা যাচ্ছে, গ্রামের লোক কীভাবে বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছে, এটা ওদের দেখার মানসিকতা নেই। '


 চিকিৎসকের দাবি, তিনি শাসক দলের সঙ্গে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তাই নাকি তিনি বরাবর আক্রমণের শিকার। ' কিছুদিন থেকে আমার ওপরে আক্রমণটা বেড়ে গেছে। কিন্তু আমি আমার দিদির বিচারের জন্য আমি যেভাবে প্রথম দিন থেকে দাঁড়িয়েছিলাম, শেষ পর্যন্ত  আজও দাঁড়িয়ে আছি। এবং দাঁড়িয়ে থাকব। এবং সিবিআইকেও আমি আমার তদন্তে সহযোগিতা করেছি। '


ওই চিকিৎসক প্রশ্ন তুলেছেন, কলেজে সিআইএসএফ দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও গত ৪ সেপ্টেম্বর তাঁর ঘরে  কিছু বহিরাগত ঢুকে পড়ে কী করে। তিনি সিআইএসএফের হেড কোয়ার্টার থেকে পুলিশ, সকলকেই জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।  তাঁর অভিযোগ, ' আমার রুম ভেঙে প্রত্যেকটা জিনিস তছনছ করে দিয়েছে। আমি আজ পর্যন্ত জানি না, আমার কত টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার রুমে কী কী জিনিস ছিল, সেগুলো আছে কি নেই আমি জানি না। আমার এটাই একটা প্রশ্ন ছিল, সিআইএসএফের উপস্থিতিতেও যদি এই জিনিসটা হয়, তাহলে আমি কী করব?' 


তাঁর অভিযোগ, যাঁরা আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি বাংলার গরিব মানুষকেও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চায়, তাদের ওপর বাধা  করছে বহিরাগতরা।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে 


আরও পড়ুন :                         


RG Kar News: 'শুনানি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি না করে ধর্ষণের মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে'