প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে দুর্নীতির পর ধর্ষণ-খুনের মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে নানা তথ্য। আর জি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক আদালতে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 'চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনেরই সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে', এমনটাই জানান হয়েছে সিবিআই এর তরফে।                         

  


এদিন সন্দীপ ঘোষ, অভিজিৎ মণ্ডলকে ৩ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে সিবিআই। বলা হয়েছে, 'চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ষড়যন্ত্র সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের। এবার সিসি ফুটেজের ভিত্তিতে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে জেরা করা দরকার। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো তদন্ত করে দেখা দরকার। চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা সন্দীপ-অভিজিতের। অভিজিৎ মণ্ডল তদন্তের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, গাইডিং অফিসার ছিলেন, অফিসিয়াল কাজ করেছেন'।                                                                   


আরও পড়ুন, 'এখনও হাসপাতালে ঘুরছে সেই ব্যক্তিরা, ভয়ের পরিবেশে কীভাবে কাজে যোগ?' সুপ্রিম-আর্জি জুনিয়র ডাক্তারদের


যদিও সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ও আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক জানতে চেয়েছেন, 'সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন? যদি সেটা হয়ে থাকে, তাহলে খুবই গুরুতর'।  


এদিকে, আর জি কর-কাণ্ডে সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচলিত সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই রিপোর্টে যা লিখেছে, তা দেখে আমরা বিচলিত, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। 'ওসি গ্রেফতার হয়েছেন, তথ্যপ্রমাণ নষ্টে আর কেউ আছে কিনা, খুঁজছে সিবিআই। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আনার দিকে এগোচ্ছে সিবিআই। এখনও তদন্ত অনেক বাকি, আমাদের সিবিআইকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। নির্যাতিতার বাবার চিঠি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন, ওতে অনেক ক্লু আছে', এদিন এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে