কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ চিকিৎসকদের কাজে ফেরার পরামর্শ দিলেও, আর জি কর মেডিক্যালের প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা এখনও তাঁদের অবস্থানে অনড়। সহকর্মী তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এরই মধ্যে রোগী স্বার্থের কথা ভেবে কাজে ফেরার কথা ভাবলেন এই রাজ্যেরই একটি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ও ইন্টার্নরা। 


আর জি কর মেডিক্যালের প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা এখনও তাঁদের অবস্থানে অনড়। সহকর্মী তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারই  আর জি কর মেডিক্যালে কাজে যোগ দিয়েছেন নতুন অধ্যক্ষ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় । কাজে যোগ দিয়েছেন নতুন উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও সমাধান সূত্র খুঁজতে বৃহস্পতিবার  হাসপাতালে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক হবে। সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের বৈঠকে ডেকেছেন অধ্যক্ষ। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রতিনিধিরাও ।  এরই মধ্যে এই রাজ্যেরই একটি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন এবার তাঁরা রোগী দেখবেন। জানালেন, চিকিৎসক সুকান্ত সরকার (চিকিৎসক ও জনসংযোগ আধিকারিক, AIIMS কল্যাণী)। 


গত ১১ দিন ধরে আর জি কর হসপিটালের ঘটনায় প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল নদিয়ার কল্যাণী AIIMS। কেন্দ্রীয় এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার জন্য রাজ্যসহ রাজ্যের বাইরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন রোগীরা ভিড় জমান। এই কয়েকদিনও মানুষের ভিড় ছিল অব্যাহত। এবার সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে সাড়া দিয়ে শুক্রবার থেকে ওপিডি পরিষেবায় যোগ দিলেন জুনিয়র রেসিডেন্ট থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গত মঙ্গলবারই আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে কর্মবিরতি তুলে, কাজে ফেরার আবেদনও জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আবারও বৃহস্পতিবার তিনি একই অনুরোধ করেন। তারপরই এই সিদ্ধান্ত। 


আরও পড়ুন : 


এবার সন্দীপ ঘোষকে আষ্টেপৃষ্টে ধরবে ইডি? বড় খবর আজই


অন্যদিকে শুক্রবারই আর জি কর কাণ্ডে দ্রুত বিচার চেয়ে শুক্রবার CBI অফিসে যাচ্ছেন হাসপাতালের প্রতিবাদী ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে CBI-এর আঞ্চলিক অফিসে যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিবাদীদের যুক্তি, CBI তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও অপরাধের কিনারা হয়নি। পেঁয়াজের খোলার মতো পরতে পরতে খুলছে রহস্য। কিন্তু সঞ্জয়ের পর একজনও গ্রেফতার হয়নি। কবে হবে এই অপরাধের কিনারা ? কবে আরও কেউ ধরা পড়বে ? তদন্ত এগোচ্ছে কোনদিকে? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদী চিকিৎসকদের একাংশ। এই অসন্তোষ থেকেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। গত বুধবারই CGO-র সামনে থেকে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিলেন আন্দোলনকারীরা।