কলকাতা: এক মাস পার, অধরা বিচার। আর জি কর-মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলা তথা সারা দেশ।বৃহস্পতিবার ছিল এই মামলার শুনানি। কিন্তু শেষ অবধি তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে আজ সোমবার আরজিকর মামলায় 'সুপ্রিম' শুনানি।আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, তার আগে আজ ফের রাত দখল। আর জি কর-কাণ্ডে গড়িয়ায় রাস্তায় আলপনা দিয়ে, ছবি এঁকে প্রতিবাদ সামিল শিল্পী থেকে নাগরিক সমাজ।   


আর জি কর-কাণ্ডে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে ফের রাত দখল। কলকাতা থেকে জেলা, আছড়ে পড়ল প্রতিবাদের ঢেউ। আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ভয়াবহ ধর্ষণ-খুনের এক মাস পার। অধরা বিচার। আজ সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় শুনানি। তদন্ত এগোল কতদূর? স্টেটাস রিপোর্ট দেবে সিবিআই। বিচারের দাবিতে রাজপথে জন-গর্জন। এবার রাত থেকে ভোর দখল। কলকাতা থেকে জেলা, ফের আছড়ে পড়ল প্রতিবাদের ঢেউ। ফের রাতের রাজপথে জ্বলল মশাল। শ্যামবাজার থেকে সোদপুর, ১৪ কিলোমিটার মানব বন্ধন। লক্ষ কণ্ঠে এক স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর। 


অপরদিকে আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ তৃণমূলের অন্দরমহলে। এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন জহর সরকার। সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশের পাশাপাশি, রাজনীতিও ছাড়তে চান এই অবসরপ্রাপ্ত আমলা। চিঠিতে মূলত দুটি বিষয় উল্লেখ করেছেন জহর সরকার। এক, আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জন-জাগরণ, যা রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের দরবারে। এই গণ-আন্দোলন তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।


আরও পড়ুন, RG কর কাণ্ডে মুখ খুললেন নির্যাতিতার দাদা, 'আমরা তো চেয়েছিলাম প্রশাসন সহায়তা করবে, কিন্তু বিশ্বাস করুন..'


তৃণমূল নেত্রীকে লেখা চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের কারণ দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দেওয়া।কোনও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের এমন ক্ষোভ ও অনাস্থা আমি আগে দেখিনি। আর জি কর-কাণ্ডে আপনার সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশা করেছিলাম। এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, খুবই সামান্য, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্তবিক্ষোভে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিতে লিখেছেন জহর সরকার। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।