কলকাতা : কুণাল ঘোষের পোস্ট করা অডিও ক্লিপ ঘিরে তোলপাড়। এনিয়ে এবার স্বতঃপ্রণোদিত FIR রুজু পুলিশের। 'ষড়যন্ত্রের' অডিও ক্লিপ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত FIR করছে বিধাননগর কমিশনারেট। কাদের মধ্যে কথোপকথন ? জানতে FIR করছে পুলিশ। এদিকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বাড়ানো হচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের সুরক্ষা।


আজ সাংবাদিক বৈঠক করে একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনেছেন কুণাল ঘোষ। তাতে দু'জনের কথোপকথন সামনে এসেছে (যার সত্যতা বিচার করেনি এবিপি আনন্দ) । কুণাল বলেন, "ভয়ঙ্কর চক্রান্তের অভিযোগ আসছে। বলা ভাল, একটা ভয়ঙ্কর চক্রান্ত ফাঁস হচ্ছে। সেটি হচ্ছে, গতকাল যখন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে, যখন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক সংক্রান্ত যে প্রক্রিয়াগুলি চলছিল, সেই সময় যখন তারপরে...যখন বৈঠকটি যে কোনও কারণেই হোক হল না...যখন জুনিয়র ডাক্তাররা প্রেস কনফারেন্স করছিলেন...সেই সময় দুটো-তিনটে শিবির একটা ভয়ঙ্কর প্লট...রাজ্য সরকারকে, তৃণমূল কংগ্রেসকে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে হবে। হামলা করতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের সল্টলেকের ধর্নামঞ্চের উপর। কলকাতার ছেলে নয়, বাইরে ছেলেদের এনে হামলা করে দিতে হবে। যাতে  গোটা দায়টা সরকারের ঘাড়ে চাপে। কারণ, বৈঠকটি কাল হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররা ফিরে আসছেন। এই সময়ে যদি মারা যায়, হামলা করা যায় তাহলে এর পুরো দায়টা রাজ্য সরকারের উপর চাপবে। এই ভয়ঙ্কর প্লট যাঁরা করেছেন, তাঁদের মধ্যে বামপন্থী একটি যুব সংগঠন আছে এবং অতি বাম সংগঠন বলে পরিচিত একটি সংগঠনের একজন এরমধ্যে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে বিজেপির যুবনেতাদের একটা অবাধ যাতায়াত তৈরি হয়েছে। ঠিক কী কথোপকথন... ওদের শিবির সূত্রেই এই খবরগুলো বেরিয়ে চলে আসছে। তারাও দিয়ে দিচ্ছেন। সবাই যে এই গন্ডগোল-চক্রান্ত চাইছেন তা নয়। ভয়ঙ্কর...নির্দিষ্টভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার কথা বলা হচ্ছে।" অডিও ক্লিপটি শোনান কুণাল (যার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ)। সেখানে একজনকে বলতে শোনা যায়, 'সাহেব অর্ডার করেছেন উড়িয়ে দেওয়ার জন্য।' অন্যজন তার উত্তরে বলেন, 'অর্ডার করলে করে দে।' 


আরও পড়ুন ; 'সাহেব অর্ডার দিয়েছে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য', জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার ছক ?


এই বিষয়টি সামনে আসার পর বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বলা হচ্ছে, এনিয়ে পুলিশ অফিসাররা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি FIR রুজু করছেন। এই এফআইআর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে। কমিশনারেটের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া পুলিশ আধিকারিকরা শুরু করছেন। কাদের মধ্যে অডিও তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি বাইরে লোক ঢুকে যাওয়ার মতো অভিযোগ সামনে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনারেটের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানস্থলে সিসি টিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসারদের মোতায়েন বাড়ানো হচ্ছে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও পুলিশ আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন বলে কমিশনারেটের দাবি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।