সন্দীপ সরকার, অনির্বাণ বিশ্বাস, দীপক ঘোষ, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার ১৮ দিন পর সামনে এসেছে সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিও।  ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সেমিনার হলে থিকথিক করছে ভিড়। কিন্তু ক্রাইম সিনে এমন ভিড় কেন ?  যেখানে নির্যাতিতার মা-বাবাকে পর্যন্ত দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি, সেখানে অপরাধস্থলে এভাবে গিজগিজে ভিড় জমাতে দেওয়া হল কেন ?  এই ভিড়েই কি আছেন কোনও প্রভাবশালী মাথা ? দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে যদি এভাবে অগুন্তি মানুষ স্রোতের মতো ঢুকে পড়ে, তাহলে সেখানে কি আর কোনও প্রমাণ রয়ে যায় ? উঠছে নানা প্রশ্ন।


ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, সেমিনার হলে থিকথিকে ভিড়, যা ঘিরে এখন একটাই প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে তাহল, এরফলে কি তথ্য়প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা জোরাল হচ্ছে না? আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত চিকিৎসক অনুভব মণ্ডলের কথায়, 'এই অভিযোগ আমরা আগে থেকেই করে আসছি, আমরা তো বারবার বলে আসছি। সেমিনার রুম সংলগ্র ঘরে ভাঙাভাঙি করে, রাতের বেলায় আরজি করে দুষ্কৃতী হামলা চালিয়ে, আর অপরাধ স্থলে এতলোক ঢুকে পড়ে, এরকম একটা প্রচেষ্টা তো করার আশঙ্কা তো আমরা আগেই প্রকাশ করেছিলাম। 


৯ অগাস্ট,  R G কর মেডিক্যাল কলেজের এই সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। আর এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। নিহত চিকিৎসকের মা জানিয়েছিলেন, ' আমরা তো পুলিশের পায়ে ধরছি, যে আমার মেয়েকে একবার মুখ দেখাও। মুখ দেখতে দাও। বলছে তদন্ত চলছে...আমরা প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ ঢুকে গেছি হাসপাতালে। আমাদের ওই তিনটে নাগাদ দেখতে দিয়েছিল। তার আগে বসিয়ে রেখেছিল ডিপার্টমেন্টেই।' 


এখানেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নিহত চিকিৎসকের মা-বাবাকে বসিয়ে রেখে বাকিদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল? মা-বাবার থেকে কিছু লুকনোর চেষ্টা হয়েছিল? চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, প্লেস অফ অকারেন্স মানে তো শুধু একটা ঘর নয়, একটা চত্বর। সেখানটা ঘিরে রাখা দরকার ছিল। আর সেখানে আর জি করের বাইরের, সম্পর্কিত নয়, এমন মানুষও ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানে প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তো থেকেই যায়। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে