নয়া দিল্লি: বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। আর এ নিয়েই চরম অভিযোগ পড়শি দেশের। যদিও ভারতের তরফে বারংবারই একটা দাবি করা হয়েছে, এটি ভারতের একার সিদ্ধান্ত নয়, প্রতিবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেই জল ছাড়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের পর সোমবারও কেন্দ্রের তরফে আরেকটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

  


সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখছি একাধিক সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ায় নানা ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। বলা হচ্ছে ফরাক্কা থেকে ১১ লক্ষ কিউসেক জল গঙ্গা এবং পদ্মায় ছাড়ার জন্য না কি বাংলাদেশে বন্যা হচ্ছে। কিন্তু এটা তো প্রতিবছর এই মরসুমে হয়। বর্ষায় বৃষ্টি হলে নদীর জলস্তর এমনই বাড়তে থাকে। আর এটাও মনে রাখতে হবে এটা ড্যাম নয়, ব্যারেজ। দুই নদীতে জলস্তর ঠিক রাখতেই ফরাক্কার বিশাল কাজ থাকে। আর প্রোটোকল মেনেই বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে ডেটা জানিয়ে উদ্বেগও জানান হয়। প্রতি বছরই তা করা হয়, এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।' 






এদিকে এর আগে বাংলাদেশের অভিযোগ ছিল, ভারত ত্রিপুরার গোমতী নদীর ডুম্বুর বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গোমতী নদীর ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যা সৃষ্টির যে দাবি বাংলাদেশের তরফে করা হচ্ছে, তা বাস্তবে সঠিক নয়। আমরা উল্লেখ করতে চাই, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকায় গত কয়েকদিন ধরে চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।’


আরও পড়ুন, লাঠিসোঁটা, ইট, পাটকেল, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আবারও বাংলাদেশে বিক্ষোভ, রক্তারক্তি


বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যায় দেশটির ৮ জেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ। জলবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার।  মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাদুর্গত আট জেলা হল ফেনি, কুমিল্লা, নোয়াখালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। আলি রেজা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে