কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের লালা ও দেহরস ফরেন্সিক পরীক্ষায় মিলে গিয়েছে বলে এবার জানাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে আগেই দেখা গিয়েছে সঞ্জয়কে। সেমিনার রুমের দিকে যেতে দেখা যায় তাকে। সূত্রের খবর, CBI যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে নির্যাতিতার শরীর থেকে যে নমুনা সংগৃহীত করা হয়, তার সঙ্গে সঞ্জয়ের লালা ও দেহরস মিলে গিয়েছে। (RG Kar Case)


সোমবার ওই চার্জশিট জমা দেয় CBI. জানা যাচ্ছে, ওই চার্জশিটে ফরেন্সিক রিপোর্টগুলি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সঞ্জয়ের সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা মিলে গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজেও সেমিনার রুমের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে সঞ্জয়কে। সেখান থেকে বেরনোর সময় তাঁর গলায় ব্লুটুথ হেডফোনটিও ছিল না। এই তথ্য আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। (Kolkata News)


আদালতে CBI জানিয়েছে, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। মোট ১২৮ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে তাদের চার্জশিটে, যার মধ্যে একাধিক পুলিশকর্মীর বয়ানও রয়েছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের বয়ানও আছে চার্জশিটে। রয়েছে ফরেন্সিক রিপোর্ট, সেমিনার রুমের একাধিক ছবি। আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমের স্কেচ ও ফ্লোর প্ল্যানও তুলে ধরেছে CBI. ধৃত সঞ্জয়ের কল ডেটা রেকর্ডস সংক্রান্ত তথ্যও রয়েছে 


আদালতে যদিও সঞ্জয় জানিয়েছে, ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানে না সে। তবে বিচারক জানিয়েছেন, সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন এই নিয়ে ইন ক্যামেরা শুনানি হবে। CBI-এর এই চার্জশিট নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা তো প্রতিবাদ সবাই করেছি। সবাই চাইছি ফাঁসি হোক। কাল চার্জশিট দেওয়া হল। ওই কথা সাত দিনেই তুলে ধরেছিল কলকাতা। ৫৮ দিনে দিল CBI. সুরক্ষার বিষয়েও সরকারের তরফে অনেক বৈঠক হয়েছে। একদিনে ম্যাজিক তো হয় না! সব কাজ একদিনে হয় না, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলছে। সুপ্রিম কোর্ট মানব না, হাইকোর্ট মানব না, এতে তো সমাজব্যবস্থা ভেঙে যাবে!"


একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয়কে দেখানো হয়েছে CBI-এর চার্জশিটে। সেই নিয়ে যদিও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক, নার্সরা। শুধুমাত্র সঞ্জয়ের নাম কেন রয়েছে, আর কারও নাম কেন নেই, সেই প্রশ্ন তুলে সিবিআই-এর দফতর অভিমুখে মিছিলও করবেন তাঁরা।